• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

১৯ বছর পর জুলেখা হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পালাতক আসামী সিরাজুলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪


প্রকাশের সময় : জুন ২৩, ২০২২, ২:৫৯ অপরাহ্ন / ৯৮
১৯ বছর পর জুলেখা হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পালাতক আসামী সিরাজুলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ১৯ বছর পর জুলেখা হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পালাতক আসামী সিরাজুলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪। গতকাল নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক সিও মো.মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, গত ২০০২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থানার বাহের চর এলাকার সিরাজুল ইসলামের সাথে সিংগাইর থানার উত্তর জামশা
গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের মেয়ে জুলেখা বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে জুলেখাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং যৌতুক না দিতে পারলে তালাক দিবে মর্মে ভয়-ভীতি দেখাত। ইতিমধ্যে জু্লেখার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

মো.মোজাম্মেল হক বলেন, কাঙ্খিত যৌতুক না পাওয়ার ফলে পারিবারিক কলহ আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে সিরাজুল তার প্রতিবেশী মোশারফ নামে এক যুবকের সাথে জুলেখার পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার সম্পূর্ণ মিথ্যা ভূয়া অমূলক অভিযোগ তোলে এবং আরো বেশি নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভিকটিমের বাবা ও ভাইসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সিরাজুলের গ্রামে সালিশ হয়। সেখানে ভিকটিমের কোনো দোষ না পেয়ে এবং পরকীয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় সালিশে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সিরাজুলকে গালিগালাজ করে এবং ভিকটিমকে নির্যাতন না করার জন্য সতর্ক করে দেয়। এই ঘটনার পর সিরাজুল আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং মনে মনে জুলেখাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক জানান, ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মানিকগঞ্জ শহরে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন অজুহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করে গভীর রাতে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ শহর হতে রওনা হয়। শশুর বাড়ি না গিয়ে কৌশলে কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার ব্যাগে থাকা পামছা বের করে ভিকটিম জুলেখার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মম ভাবে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় জুলেখার বাবা মো. আব্দুল জলিল বাদী হয়ে সিরাজুলসহ তার বড় ভাই রফিকুল, মা রাবেয়া বেগম, খালু শামসুল, চাচা ফাইজুদ্দিন ও তাইজুদ্দিন এবং মামা আবুল হোসেনসহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের শেষের দিকে সিরাজুল’কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।