• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

রেন্ট এ কারের ড্রাইভার কথিত সোর্স কানকাটা জাকির যখন রিপোর্টার


প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০২৪, ৯:০৫ অপরাহ্ন / ৪৪
রেন্ট এ কারের ড্রাইভার কথিত সোর্স কানকাটা জাকির যখন রিপোর্টার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জাকির হোসেন ওরফে কান কাটা জাকির এক সময়ের প্রাইভেট কার পরিস্কার করতো রেন্ট এ কারের স্টপে। তারপর সে হয়ে উঠে গাড়ির ড্রাইভার।

ড্রাইভার হওয়ার পর কুমিল্লা থেকে মাদক পাচারের অভিযোগ রেন্টএকার থেকে বের করে দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের সোর্স হিসাবে।

শাক দিয়ে মাছ ঠাকতে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্তেও রাতারাতি রিপোর্টার সেজে যায় জাকির। রিপোর্টার হিসাবে কাজশুরু করে চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইলিং সহ নানা অপরাধ মুলক কাজে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই কানকাটা জাকির কে দেখা যায় থানায় অবস্থান করতে। জাকির ওরফে কানকাটা জাকির সাংবাদিকের কার্ড ঝুলিয়ে সাধারণ মানুষকে করেন র্নির্যাতন সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ান পাড়া মহল্লায়।

থানার পাশে খুলে বসেছে নিজেই একটি ক্লাব ৫টি পত্রিকার ব্যানার ঝুলিয়ে করেন অপ-সংবাদিকতা। মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আদায় করে মোটা অংকের টাকা।
থানায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ করতে গেলে বা জিডি করতে গেলে তাদের পিছনে লেগে থাকে আঠার মত। তাদের কাজ করে দেওয়ার নাম করে হাতিয়া নেয় ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদমজী নতুন বাজারের একজন ভুক্তভোগী জানান, জাকির আদমজী নতুন বাজার রাস্তার পাশে ফুটের দোকান গুলোতে চাঁদা আদায় করেন ২০০ টাকা থেকে ধরে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। টাকা না দিলে ভয় দেখায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধরে নিয়ে মামলা দিয়ে দিবে এবং নিজেই পুলিশ সেজে রাস্তায় কোন সমস্যা হলে বা কারো সাথে কোন ঝগড়া-বিবাদ হলে তাদেরকে নিজেই ধরে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে আসে থানায় এবং অসহায় মানুষদের জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

নাম প্রকাশে

অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নাহিদ ওরফে ফেন্সি নাহিদ তার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময় পুলিশ ক্লিয়াররেন্স করিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করে জাকির ওরফে কান কাটা জাকির। তবে একজন মাদক ব্যবসায়ী কিভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ক্লিয়াররেন্স পেল এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নাহিদ কি ভাবে কানকাটা জাকিরের মধ্যস্থতায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেল।

এ ধরনের লোকদের কারনে সাংবাদিকতা আজ প্রশ্নের সন্মুখীন। ড্রাইবার, মাদক ব্যবসায়ী, পুলিশের সোর্স এরা যদি রিপোর্টার হয় তবে শিক্ষিত মেধাবিদের লেখনি সমাজের কি কল্যান বয়ে আনবে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে সিদ্ধরগঞ্জের এমন পাঁচজন রিপোর্টারের নামে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে অভিযোগ জমা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সহযোগিতায় তদন্ত শেষ করেছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।

এ সকল নামধারী সাংবাদিকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ মানুষ।