• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের বাঁধের কাজে ভক্ষকের ভূমিকায় রক্ষক : টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পিআইসিদের


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩, ৫:৪৬ অপরাহ্ন / ৫৯
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের বাঁধের কাজে ভক্ষকের ভূমিকায় রক্ষক : টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পিআইসিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক,মধ্যনগর,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় অনিয়ম- দূর্নীতির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়ার শুরুতেই কাজের তদারকি করার দায়িত্বে থাকা (পাউবোর) উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্মপাশা কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম চুক্তিপত্র সম্পাদনে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করা হয়েছে বলে পিআইসিদের অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ ইং অর্থবছরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ১২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসির) বিপরীতে ২৫কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। পিআইসিদের বাস্তবায়ন কাজের বিষয়ে চুক্তিপত্র সম্পাদন করার সময় পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্মপাশা কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম প্রত্যেক পিআইসির কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে একাধিক পিআইসির অভিযোগ রয়েছে। চলমান কাজে হয়রানির শিকার হতে পারে বলে বাধ্য হয়ে চুক্তিপত্র সম্পাদনে টাকা দিতে হয়েছে বলে পিআইসিরা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পিআইসি জানান চুক্তিপত্র সম্পাদনে টাকা রাখার ব্যাপারে পাউবোর (এসও) জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ধর্মপাশা উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পের চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে স্টাম্প খরচ বাবদ ৫ শত টাকা নিতে পারে। এর বেশি টাকা রাখার কথা নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এরকম বিষয় আমি শুনিনি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।