• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

টঙ্গীতে পুরোদমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্ততি


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ১২:২২ পূর্বাহ্ন / ৬৬
টঙ্গীতে পুরোদমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্ততি

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ গাজীপুর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বইজতেমার ৫৬তম সম্মেলন। দুই পর্বের এই ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩থেকে ১৫জানুয়ারী (আলমী শুরা), ছয় দিনের বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে ২০ থেকে ২২জানুয়ারী (ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসেফুল অনুসারীরা) অংশ নিবেন।

বৃহৎ এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিশ্বইজতেমার ৫৬ মাঠ জুড়ে বিশাল প্যান্ডেল, খুঁটি ও তম সম্মেলন হওয়ায় তিনি শুক্রবারে কাজে এখন পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি। মাঠের ভিতর রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দল বেঁধে খুটি, চট দিয়ে টানাচ্ছেন সামিয়ানা। বিদেশী মেহমানদের জন্য আলাদা মঞ্চেরও কাজ চলছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, আলেম সম্প্রদায় সহ হাজারো সাধারণ মানুষ মাঠ পরিচর্যায় সেচ্ছাশ্রমে বাস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই মাঠের ৮০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

গতকাল বিকেলে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, খুঁটি পোতা শেষ পর্যায়ে উপরে হালার চট, ত্রিপল টানানোর কাজ চলছে। বালি দিয়ে মাঠের বিভিন্ন গর্ত ভরাট, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার, মাটিকাটা, পুরোনো ডেন সংস্কার, ময়দানের চারপাশে ওজু ও গোসলের চৌবাচ্চাগুলো সংস্কার, বিদেশী অতিথিদের বাসস্থানও নিরাপত্তার সাথে কাজ করা হচ্ছে। আগত মুসুল্লীদের পানি সরবরাহের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পাম্প বসানো হয়েছে। অস্থায়ী শৌচাগারের পাশাপাশি পাকা শৌচাগারও নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপদে ধর্মীয় এই আয়োজন স্বার্থক করতে কোন কমতি রাখা হচ্ছে না এবার।

ইজতেমা মাঠে সেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে থাকা শ্রীপুরের মাওনা এলাকার আব্বাস আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি একজন চাকুরীজীবি। ছুটির দিন এসেছেন। প্রতিবছরেই তিনি মাঠ প্রস্তুতির সময়ে বন্ধুদের নিয়ে কাজে আসেন। এতে তিনি মনে প্রশান্তি পান।

ঢাকা ফরিদাবাদ থেকে প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ মাঠে কাজ করছিলেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এটি আল্লাহর রাস্তার কাজ। দ্বীনি কাজের মাধ্যমে সদকায়ে জড়িয়ার সওয়াব পাওয়া যায়। সে সওয়াবের অংশ পেতেই তারা অংশ নিয়েছেন। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।

সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দুরুত্ব বজায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার, ও টিকা দেয়া থাকতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি কতটুকু নিয়ন্ত্রন করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।