• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ : মামলা দায়ের


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩, ৫:৪৮ অপরাহ্ন / ৬৩
গোপালগঞ্জে আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ : মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ওই আইনজীবীর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই আইনজীবী পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার সামচুল হক রোডে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সাথে ৩/৪ মাস পূর্বে পাঁচুড়িয়া এলাকায় বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের সাথে পরিচয় হয় এবং মোবাইল ফোনে কথা আদান প্রদান হয়।

শুক্রবার বিকেলে ৪ টার দিকে আলমগীর হোসেন মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে বাচ্চাদের পড়ানোর কথা বলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে আসতে বলেন। ওই ছাত্রী হাসপাতালের সামনে এসে আলমগীরকে ফোন দিলে বাসায় আসতে বলেন। তখন ওই ছাত্রী তার বাসায় যান। তখন তার বাসায় পরিবারের অন্য কোন সদস্য ছিলো না। তখন সে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং শরীরের বস্ত্র ছিড়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

ডেপুটি রেজিস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিষয়টি ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর লিখিত ভাবে জানান। তখন রেজিস্টার প্রোক্টারিয়াল বডির সকল সদস্য ও ওই ছাত্রীর পরিবারের সাথে কথা বলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

অভিযুক্ত আইনজীবী গতকাল রাতে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, আমাকে ব্লাকমেইল করতে ওই ছাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আমার বাসায় হামলা করে ভাংচুর চালিয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আমার স্ত্রীকে দিয়ে ওই ছাত্রী ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের নামে মামলার প্রস্তুতি গ্রহন করছি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রজু হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, আলমগীর হোসেন গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী। এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ শহরতলীর ঘোনাপাড়ার একটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের পরিচালক বলে জানা গেছে।