• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠির রাজাপুরে সরকারি পুরাতন ব্রীজের লোহার মালামাল গায়েব : চাপের মুখে আংশিক ফেরত দিলেন ঠিকাদার


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩, ৪:৪৯ অপরাহ্ন / ৬৯
ঝালকাঠির রাজাপুরে সরকারি পুরাতন ব্রীজের লোহার মালামাল গায়েব : চাপের মুখে আংশিক ফেরত দিলেন ঠিকাদার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে সরকারি ব্রীজের লোহার মালামাল উদ্ধার করেছেন এলজিইডি। রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮ নং শুক্তাগড় এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করেন সৈয়দ এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে থাকা পুরাতন আয়রণ ব্রীজের লোহার মালামাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন রাজাপুর উপজেলা এলজিইডি বিভাগ’কে না জানিয়ে দুইটি ট্রলি গাড়ীতে করে ঝালকাঠি নিয়ে যাচ্ছেন এমন খবর জানাজানির পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় এলজিইডি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এক গাড়ী লোহার মালামাল রাজাপুর উপজেলা এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। যাহা এলজিডির স্থানীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমানকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রিসিভ করতে দেখা গেছে। অপর এক গাড়ী ব্রীজের মালামাল এখন পযর্ন্ত উদ্ধার হয়নি।

শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈকত আহমেদ সাইফুল জানান, আমাদের এলাকায় একটা পুরাতন ব্রীজ ভাংছে। গতকাল বিকেলে ব্রীজের লোহার বীম সহ মালামাল ঠিকাদার মিলন ভাইর লোকজন নিয়ে যাচ্ছে এমন সময় আমি তাদের বলি এটা তো পরিষদের মালামাল। তখন তারা বললো অন্য সাইডে কাজ চলে এসব মালামাল আমরা সেখানে নিয়ে যাবো। এরপরে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফোন দিলে সে ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারকে বিষয়টি জানাতে বলে।চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে সে বলে বিষয়টি আমি দেখতেছি। এর কিছু ক্ষনের মধ্যেই ঠিকাদারের লোকের কাছে ফোন আসে এবং তারা বলে আমরা মুরাদের সাথে কথা বলতেছি। এরপর মুরাদকে ফোন দিলে সে বলে আমাদের সাথে কথা হইছে এ মালামাল অন্য সাইডে নিয়ে যাবে পরে আবার পরিষদে জমা দিয়ে যাবে।

ব্রীজের কাজে থাকা শ্রমিকরা জানায়, ঠিকাদারের লোকজন পরিচয়ে বিকেলে এবং রাতে দুইটি ট্রলি গাড়ীতে করে লোহার মালামাল নিয়ে যায়। আমরা গাড়ী দুটিতে ব্রীজের পুরাতন লোহার বীম সহ মালামাল তুলে দেই।

উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানান, আমাদের না জানিয়ে ঠিকাদারের লোকজন ব্রীজের মালামাল নিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি জানতে পেয়ে আমরা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে কিছু মালামাল ফেরৎ দিয়ে যায়। বাকি মালামাল ফেরৎ না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার সৈয়দ মিলন জানান, আমার লোকজন দরপত্রে অন্তভূক্ত থাকা ব্রীজের কিছু মালামাল নিয়ে ছিলো যা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল রাতে কাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।