• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীতে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যা করলেন গর্ভধারিণী মা ও চাচা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন / ৩৫
পটুয়াখালীতে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যা করলেন গর্ভধারিণী মা ও চাচা

সোহেল মোল্লা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধিতার জোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ কন্যা শিশু মরিয়মকে (৮) হত্যা করলেন মা ও চাচা। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে এ ঘটনা স্বীকার করেন তারা। মরিয়ম রামভালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। মরিয়ম সানকিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রামভালক গ্রামের মৃধা বাড়ির মকবুল মৃধার দ্বিতীয় মেয়ে।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত যায়গা থেকে মরিয়মের মরদেহ পাওয়া গেলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ধটনাকে কেন্দ্র করো পুলিশ তদন্তে নামলে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করেন বলে জানান পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, হত্যার আগে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও চাচা সেন্টু মৃধা জমিজমা বিরোধীয় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত শনিবার সন্ধ্যায় মা রিনা বেগম মেয়ে মরিয়মকে পাশের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নতুন পোষাক পরিয়ে চুল বেঁধে সাজিয়ে গুছিয়ে বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত ভিটায় নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে মরিয়মের মুখ বেঁধে রাখে আর চাচা সেন্টু মৃধা মোটা শক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথায় আঘাত করে মরিয়মকে হত্যা করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, মরিয়মকে হত্যার আলামত ঢাকতে মা রিনা বেগম রক্তাক্ত পোষাক নিয়ে পুকুরে নেমে সাতার জানা মরিয়মকে খুজতে থাকেন এবং মরিয়মের নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ি না খুঁজে এলাকার মসজিদের মাইকে তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ প্রচার করতে থাকেন। এছাড়া মরিয়মের মায়ের অসংলগ্ন আচরণ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। মরিয়মকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত লাঠি ও ওড়না উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উল্লেক্ষ্য, গত শনিবার রামবল্লভ অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়মকে (৮) বাড়িতে ফিরতে না দেখে পরিবারের লোকজন মরিয়মকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত ৮ টায় বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত ভিটায় মরিয়মের রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেন তার বাবা মকবুল মৃধা। এসময় শিশুটির মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং গলায় ওড়না পেচানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২ টায় মরিয়মের লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত মরিয়মের বাবা মো: মকবুল মৃধা জানান, পুলিশ বলেছে মরিয়মের মা রিনা বেগম ও আমার ভাই সেন্টু মৃধা মিলে মরিয়মকে হত্যা করেছে, ঘটনা সত্যি না মিথ্যা বুঝতে পারছি না। তবে তারা যদি সত্যি অপরাধী হয় তাহলে তাদের যেন কঠোর বিচার হয়।