• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের সুলতানশাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪, ৮:৩০ অপরাহ্ন / ৪২২
গোপালগঞ্জের সুলতানশাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

কে এম সাইফুর রহমানঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকান্দি ইউনিয়নের সুলতানশাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

পরে এ সংক্রান্তে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী মামুন সিকদার, মোঃ শাওন মোল্লা, মোঃ গোলাম কিবরিয়া, এনিয়া, মোঃ রিপন সিকদার, তাছবিরুল ইসলাম, মোঃ হাসনাইন সরদার পূর্বের নিয়োগ বাতিল করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুনন নিয়োগের দাবিতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতান শাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ সংক্রান্তে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্ব-স্ব পদে বিভিন্ন প্রার্থী আবেদন করেন। পরবর্তীতে, গত ৩১ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ এস.এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম তালুকদার, সুলতান শাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও সভাপতি শেখ বোরহানুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা যোগ্যপ্রার্থীদের বাদ দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট দ্রুত উক্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিল সহ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

গণমাধ্যমকে ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা সকল ভুক্তভোগীরা সম্মিলিত ভাবে আইনের আশ্রয়ে যাওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বর্তমান প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও স্কুল কমিটির সভাপতি শেখ বোরহানুল ইসলাম নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির সাথে জড়িত। তাদের এহেন কর্মকান্ডে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, ঠিক তেমনি এলাকার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম তালুকদারের ব্যবহৃত ০১৭…৬৯৪ মুঠোফোনে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪ টি পদে একাধিক প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। নিয়োগ কমিটির আমি একজন সদস্য মাত্র। আর্থিক লেনদেন সহ কোন ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

অভিযুক্ত সুলতান শাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৭…২৬৭ নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এলাকায় আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ বোরহানুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭…০৪২ নম্বরে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপর রেগে বলেন, তুমি সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছো কেন? আমাকে ফোন দিবা না? আমার কাছে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করবা না? তুমি হাইকোর্টে কেস কর। এই বলে সংযোগটি কেটে দেন।