• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি : অতিষ্ঠ স্থানীয়রা!


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৭, ২০২১, ৯:১৪ অপরাহ্ন / ২৯৮
কক্সবাজার ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি : অতিষ্ঠ স্থানীয়রা!

সায়মন সরওয়ার কায়েম,কক্সবাজারঃ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন। বিট কর্মকর্তার ননস্টপ গিয়াস উদ্দীনের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারন।ফলে যে কোন মুহুর্তে সংঘাত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের সাথে। তার এহেন আচরণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও সুফল পায়নি স্থানীয় জনগণ। যার কারনে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্য ও সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,উক্ত অসাধু বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়ে।স্থানীয় বনদস্যুদের সাথে যোগসাজশ এবং সম্পর্কতা গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল উজাড় করে আসলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। গাছ,লাকড়ী,বাঁশ বাহী পরিবহন আটকিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করতে গিয়ে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন এ অসাধু বন কর্মকর্তা।
সরকারী দায়িত্ব যথাযত পালন না করে স্থানীয় দালাল চক্রের সাথে আড্ডা দেয় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যক্তি।তারা আরো জানান, বনাঞ্চল রক্ষা করার বদলে ধ্বংসে নেমে লুটপাট করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।বলতে গেলে বনসম্পদ রক্ষায় কোনধরনের আগ্রহ নেই এই বনাঞ্চলের বিট অফিসার ও ফরেষ্টগার্ড কর্তাদের। এদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা না নিলে ঈদগাঁও উপজেলার ভোমরিয়া ঘোনা,পানের ছড়া,ঈদগড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অবশিষ্ট বন বিভাগের সম্পদ নিমিষেই উজাড় হয়ে যাবে।
ভোমরিয়া ঘোনার রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, বনাঞ্চল কেটে উজারকরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করা হচ্ছে নতুন ঘরবাড়ি। কাটা হচ্ছে মাদার থ্রি ফোর গর্জন আকাশমনি গামারি সহ বিভিন্ন জাতের গাছ।এছাড়া চোরাই কাঠ রাতের অন্ধকারে ঈদগাঁওর বিভিন্ন করাতকলে সাপ্লাই দিয়ে ফিশিংবোট তৈরী করতেও সহযোগিতা করেন তিনি।সবকিছুতেই জড়িত এই অসাধু বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন দিনের পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে জানান এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান,স্থানীয় এক প্রভাবশালী সেন্টিকেটের মাধ্যমে নতুন ঘর বাড়ি ও বনভূমি দখলদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন। আবার টাকা না দিলে ভেঙে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।
এ ব্যাপারে সরজমিনে সংবাদ কর্মী অভিযুক্ত ভোমরিয়া ঘোনার বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি আপনাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না আমি কার কাছ থেকে টাকা নিবো সেই টা আমার ব্যাক্তিগত বিষয় আমি আপনাদের কেনো বলবো বলে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যায়।এই বিষয় রেঞ্জ কর্মকর্তা সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আগেও উনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আসছিল আমি এই বিষয় নিয়ে উপর মহলে অভগত করছি, স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।