• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

সারা দেশে করোনার কারনে মেগা প্রকল্পগুলোতে চলছে ধীর গতি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১২, ২০২১, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন / ১৯৭
সারা দেশে করোনার কারনে মেগা প্রকল্পগুলোতে চলছে ধীর গতি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনা এবং চলমান বিধি নিষেধের বাধায় দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজের গতি অনেকটাই কমেছে, বেড়েছে নির্মাণ ব্যয়ও। প্রয়োজনীয় জনবল সংকট এবং মালামাল পরিবহনে সমস্যা হওয়ায় কাজের গতি কমেছে বলে জানান, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

গত কয়েক বছর ধরে দেশে বেশ কয়েকটি বড় যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। কিন্তু করোনার বাধায় ঠিকমতো এগুতে পারছেনা এসব প্রকল্পের কাজ। ফলে ব্যায়ও বাড়ছে।

নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু। এর সাথে যুক্ত হয়েছে রেল পথও। নানা জটিলতা কাটিয়ে এর নির্মাণ কাজ যখন গতি পেয়েছে, তখনই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক মহামারী করোনা। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, কাঁচামালের যোগান সংকটসহ নানা কারণে একাধিকবার পিছিয়েছে এর উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মান কাজেও করোনা বাধায় ধীরগতি। তবে তা পুশিয়ে নিতে দিনরাত কাজ করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পবাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আইটিডি এর নির্মাণ ব্যয় বহন করায় এই প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়লেও তা থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি বহন করবে।
কর্নফুলী নদীর তলদেশে প্রায় সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্নফুলী টানেল। করোনার কারনে এই প্রকল্পের কাজের গতি কমেছে। ব্যয় বাড়ারও আশংকা আছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
বেশী খারাপ অবস্থা এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও কয়েক ধাপে বেড়েছে এর সময় ও ব্যয়। সব শেষ ২০২২ সাল কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হলেও বর্তমান বাস্তবতায় এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সম্ভাবনা কম।
চলমান এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে এর বাস্তবায়ন।