• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

নড়াইলের দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ জনের তিনদিন করে রিমান্ড


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০২২, ১১:১৮ অপরাহ্ন / ১১৫
নড়াইলের দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ জনের তিনদিন করে রিমান্ড

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ নড়াইলের দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ জনের তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিজানুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিন করে মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলো, রাসেল মৃধা, সাঈদ শেখ, কবির গাজী, রেজাউল শেখ ও মামুন মৃধা। এদের বাড়ি দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।

অন্যদিকে, গতকাল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া গোবিন্দ সাহার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহযোগিতাও করেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই নড়াইলের দিঘলিয়া এলাকার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের শেডের দেয়াল ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।