• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

সন্ত্রাসী হামলা শিকার মা ছেলের শঙ্কা কাটেনি এখনো


প্রকাশের সময় : জুলাই ১২, ২০২৩, ৮:৪৮ অপরাহ্ন / ৬৭
সন্ত্রাসী হামলা শিকার মা ছেলের শঙ্কা কাটেনি এখনো

নিজস্ব প্রতিবেদক, মুন্সিগঞ্জঃ মুন্সিগঞ্জের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত মা ছেলের শঙ্কা কটেনি এখনও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত মৃত্যু সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন মা ডলি বেগম ও ছেলে সাকিব । গত রবিবার (৯, জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ভট্টাচার্যের বাঘ এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ডলি বেগম (৪২) ও তার ছেলে শাকিব (১৮) কে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই( পর্যন্ত ভর্তি থাকে। পরে মঙ্গলবার রাতে তাদের অবস্থায় আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক মা-ছেলে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেই ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও শঙ্কা কাটেনি মা-ছেলের। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বুধবার (১২ জুলাই) ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে মুন্সিগঞ্জ ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে গুরুতর আহত ডলি বেগম। যার মামলা নং ৫৪৯/২০২৩।

জানা গেছে ঘটনার আগের দিন শনিবার ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার নোয়াবালীর ছেলে মাসুদ ঢালীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় একই এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে শাকিবের। পরে ঘটনার দিন রবিবার সন্ধ্যার সাড়ে ৬ টার দিকে নোয়াব আলীর অপর ছেলে রাজা মিয়া শাকিবকে ডেকে রাজা মিয়ার ভাই মাসুদ ঢালী,সহযোগী মোঃ আলীর ছেলে সাজ্জাদ, জাহাঙ্গির হোসেন এর ছেলে সিফাত,মোঃ আক্তার মিয়ার ছেলে অপুসহ অজ্ঞাত ১০/১৩ জন মিলে শাকিবকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে। এসময় ছেলে শাকিবকে বাচাতে তার মা ডলি বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারিরা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ৩ দির ভর্তি থাকার পরেও তাদের অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে মা ছেলে দুজনই আশঙ্কাজনক অবস্খায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

মারধরে গুরুতর আহত ডলি বেগম বলেন,তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভট্টাচার্যের বাগ এলাকার নবাব আলীর ছেলে রাজা মিয়া ও মাসুদ সহ তাদের সহযোগী ১০-১২ জন মিলে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে । এ সময়ে ছেলেকে বাঁচাতে আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও সন্ত্রাসীরা পিঠিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম করে। মারধরের বিচার চেয়ে মুন্সিগঞ্জ থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান পরে কোন উপায় না পেয়ে বুধবার ১২ জুলাই মুন্সিগঞ্জ আদালতে আসামিদের বিচারের দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করি। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে মাসুদের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,মামলা হইলে হইছে এসব বিষয়ে আপনাদের বলে লাভ কি বলে ফোন কেটেদেন।