• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জামিনে এসে নিহতের পরিবারকে হত্যার হুমকি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৯, ২০২৩, ৯:৪৬ অপরাহ্ন / ৩৭
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জামিনে এসে নিহতের পরিবারকে হত্যার হুমকি

মতিউর রহমান রিয়াদ, লৌহজং,  মুন্সিগঞ্জঃ মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে হত্যার পরে নিহতের পরিবারকে আবারো হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ধাইর পাড়া গ্রামে পাওনা টাকা দাবিতে চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন হয় ভাই। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই লৌহজং থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার ১০ দিন পরে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও ৪ জন আদালতে জামিন চাইলে নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে গত ২১ আগস্ট হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাড়া বাকি ৫ জন জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়। পরে নিহত ইয়ার আলী শেখের (৫৮) ছেলে হৃদয় শেখকে (২৩) প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরে গত রবিবার রাতে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছেলে হৃদয় গত ২৬ আগস্ট উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ধাইরপাড়া কবরস্থান মসজিদ থেকে এশারের নামাজ পড়ে বের হলে মামলার ৪ নাম্বার আসামি আকাশ শেখসহ বেশ কয়েকজন মিলে হৃদয়কে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার চাপ দেয়। এক পর্যায়ে খুন জখমের হুমকি ধমকি প্রদান করে। পরে স্থানীয় মুসল্লীর তাকে উদ্ধার করে।

হৃদয় শেখ জানান, আমাদের বাবাকে হত্যা করেছে। এখন আমাদের হত্যার পায়তারা চালাচ্ছে। আমাকে মেসেন্জারে বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি পাঠাচ্ছে। সে ছবি-ভিডিওর দৃশ্য হাত-পা জখম, ব্যান্ডেস্ করা। সে সাথে আমাদের পরিবারের কেউই রাস্তায় বের হতে পারছে না। বের হলেই আমাদের মেরে ফেলবে এ হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, গত মাসের হত্যার ঘটনায় মামলায় হয়েছে। আমাদের পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকা দুই নারীকে আটক করেছে। সে সাথে আরও চারজনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে ৫ জন জামিন নিয়ে আসেন। তিনি আরও জানান, গত (২৭ আগস্ট) রবিবার রাত ৯টার দিকে নিহত ইয়ার আলী শেখের ছেলে হৃদয় শেখ আমাদের কাছে আসে। এবং সে জানান মামলার আসামিরা হত্যাসহ নানান হুমকি ধমকি দিচ্ছে। পরে আমরা লিখিত অভিযোগ রেখেছে। এখন এ ঘটনায় জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ, গত ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মৃত ইছাক আলী শেখের ছেলে (নিহত) ইয়ার আলী শেখ তার চাচাতো ভাই মোক্তার শেখের কাছে। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইয়ার আলী শেখকে মাথায় কাঠ দিয়ে বারি দিয়ে গুরুতর আহত করে। এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সে সাথে ইয়ার আলী শেখের ছেলে হৃদয় শেখ, ইছাক আলী শেখের ছেলে ইউসুফ শেখ, ইউসুফ শেখের স্ত্রী সালমা বেগম গুরুতর আহত হয়। পরে এ ঘটনায় ওইদিন মামলা দায়ের করেন হৃদয় শেখ। এর ১০ দিন পরে ২ জনকে আটক করে পুলিশ। সে সাথে আরও ৪ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২১ আগস্ট রোকসানা (৩৮) ও তানিয়া (৩২), হামিদ শেখ (৮৫), মুক্তার (৪৬), ইয়াকুব নিশাত (১৯) জামিনে বের হয়। এখনও মামলার প্রধান আসামি সবুজ শেখ (৪০) মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছে।