• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সৌদিতে পাড়ি জমালেন প্রতারক সেলিম মিয়া, সর্বস্ব হারিয়ে বিপাকে ভুক্তভোগীরা, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২৩, ৯:২৭ অপরাহ্ন / ৯৯
প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সৌদিতে পাড়ি জমালেন প্রতারক সেলিম মিয়া, সর্বস্ব হারিয়ে বিপাকে ভুক্তভোগীরা, সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী নেওয়ার কথা বলে ১৩টি জাল ভিসা দিয়ে বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ৩৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমালেন সেলিম মিয়া (৩৫) নামের এক প্রতারক। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৮২ ৯৩১৯ ৫৭৭ ১০৩ ৭৪৯, পাসপোর্ট নং বিএইচ-০৬৬০৭৯৬, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ইস্যু তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সৌদি আরবের ভিসা নং-এ ১৭৮০৬৬৮১, সে টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার নন্দ বালা গ্রামের মো. সায়েদ আলীর ছেলে।

পরে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত সেলিমের বড় ভাই মো. রফিক মিয়া ওরফে রফিকুল (৩৮), সেলিম মিয়া (৩৫), সেলিমের স্ত্রী মিতা বেগম (৩০), মো. মিজান উদ্দিন (৩৫), পিতা অজ্ঞাত, সেলিমের পিতা মো. সায়েদ আলী মিয়া (৬২), মৃত আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার ছেলে ইসলাম ভূঁইয়া (৩৫) এর নামে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে ভুক্তভোগী মো. শরীফুল ইসলাম (৩১) নিজে বাদী হয়ে একটি সি. আর মামলা নং – ৭৫/২০২২ ধারা (৪০৬ / ৪২০ দঃ বিঃ) দায়ের করেন। ভুক্তভোগী মো. শরীফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামে। সে একই গ্রামের মো. মঞ্জুর হোসেন সিকদারের ছেলে।

এছাড়াও প্রতারক সেলিম মিয়ার নিকট ভিসা বাবদ ২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের রিবু সিকদারের ছেলে কাতার প্রবাসী মো. জিকরুল সিকদার। পরে তিনি প্রতিকার চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অন্যদের সাথে ভিসা জালিয়াতির দায়ে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার দেশে হাজত বাসের পর বাংলাদেশে ফিরে সৌদি আরবে পাড়ি জমালেন সেলিম মিয়া। যদিও উক্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে উক্ত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আসামীরা তদবির করে জামিনে রয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান ভুক্তভোগীরা।

সংসারের অভাব মেটাতে জমি – জমা বিক্রি সহ ধার-দেনা করে সেলিম মিয়ার কথা মতে তার পরিবারের লোকজনদের নিকট পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন একাধিক পরিবার। সর্বস্ব হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন- যাপনকারী ভুক্তভোগীরা তাদের অর্থ ও জমা দেওয়া পাসপোর্ট ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।