• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার টয়লেট থেকে দুই বছর পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার


প্রকাশের সময় : মার্চ ৩, ২০২৪, ৮:১৪ অপরাহ্ন / ৭৫
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদ্রাসার টয়লেট থেকে দুই বছর পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মোছাঃ তাওহীদা ইসলাম তন্নী, নাটোরঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে পরকীয়া প্রেমের জেরে ২০২২ সালে শ্বাসরোধ করে এবং বুকে সাবলের আঘাতে হত্যা করা হয়েছিলো মাফিজুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লাশটি বস্তায় ভরে সেই রাতেই বাড়ির পাশে মাদ্রাসার ভেতরে এক কোনে মাটিতে পুতে রেখেছিলেন আসামীরা।

দীর্ঘ দুই বছর পর রবিবার দুপুরে উপজেলার চাঁচকৈড় বালিকা দাখিল মাদরাসায় টয়লেটের ভেতর থেকে মাফিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৪ ঘন্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ট্রাইলস এবং ঢালাই কাটার পর প্রায় দশ ফুট মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় গুরুদাসপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল, নাটোরের অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম, ক্রাইম এন্ড অবস বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারি পরিচালক খুরশেদ আলম, সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান, চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ও গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে চারজনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের মা মাহিনুর বেগম। মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার মাফিজুল ইসলাম গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় খলিফা পাড়া মহল্লার আজাদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। মাফিজুলের স্ত্রী ও ৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হওয়ার পর ২০২৩ সালে তানজিলার সাথে স্বামী আল-হাবিবের আবারো কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তানজিলার দায়ের করা যৌতুকের মামলায় জেলহাজতে যান আল-হাবিব। জেলহাজতে থাকা অবস্থায় আল-হাবিব গুরুদাসপুরের জাকির মুন্সি নামের ব্যাক্তির কাছে মাফিজুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

জাকির মুন্সি জামিনে বেরিয়ে এসে বিষয়টি প্রকাশ করলে থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ পুতে রাখার স্থানটি শনাক্ত করেন তারা। দুইদিন মাদরাসাটি পুলিশ প্রহরায় রাখা শেষে রবিবারে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।