• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

অবশেষে আদালতের রায়ে প্রতারক কামাল প্রধানের ৮ মাস জেল ও জরিমানা


প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৩, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন / ১৫৩
অবশেষে আদালতের রায়ে প্রতারক কামাল প্রধানের ৮ মাস জেল ও জরিমানা

এম রাসেল সরকারঃ নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত প্রতারক ও একাধিক মামলার আসামী কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলায় অবশেষে নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ ৩নং যুগ্ম দায়রা জজ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করে রায় দিয়েছে। গত ৩১ মে ৮৮৬/১৯ সেশন মামলার এই রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানা কাশীপুরের পশ্চিম ভোলাইল এলাকার মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল রানা প্রধান ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসাবে চাকরী করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। এমন সময় বন্দর থানার বাগবাড়ি এলাকার আবুল প্রধানের ছেলে চিহ্নিত প্রতারক কামাল প্রধান নিজেকে কয়েকটি পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক পরিচয়সহ নিজেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একজন মেয়র প্রার্থী পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারে দোকান দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা সোহেল রানা প্রধানের কাছ থেকে গ্রহণ করে।

দোকান না দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বিগত ২০১৮ সালের ৩১ মে কামাল প্রধানের নিজের সঞ্চয়ী হিসাবে নং-৯২৪৯ এবং যার চেক নং-এসবিএলআর ২৮৩৯৭৪৩ একটি চেক প্রদান করে সোহেল রানা প্রধানকে। পরবর্তীতে দোকান না দিলে ভুক্তভোগী ব্যাংকে গেলে একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকার কারণে চেকটি ডিজঅনার হয়। টাকা উত্তোলন করতে না পেরে প্রতারক কামালের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এনআই এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায় নারায়ণগঞ্জ অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৮৮৬/১৯। এরপর থেকে প্রতারক কামাল প্রধান মামলার বাদী সোহেল রানার বিরুদ্ধে মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়।

পরে বাধ্য হয়ে কামালের বিরুদ্ধে ৫০০/৫০১ ধারায় আরেকটি সিআর মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী। মামলা নং-৫৯১/১৯। মামলাটি বর্তমানে বিচরাধীন রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বৎসর পরে অবশেষে গত ৩১ মে ৮৮৬/১৯ চেক ডিজঅনারের মামলাটি রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।

প্রতারক কামাল প্রধানকে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করে রায় প্রদান করেন আদালত। ভুক্তভোগী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রায়ে সন্তুষ্ট হলেও তিনি শংকিত রয়েছেন। কারণ কামাল প্রধান এখনও গ্রেফতার হয়নি। পলাতক থেকে হুমকী ধামকী দিচ্ছে এবং হয়রানী করার চক্রান্ত করছে। রায়টি দ্রুত কার্যকর করার জন্য ভুক্তভোগী প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে।