• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন

খুলনার পাইকগাছায় ঘের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে যমের চিঠি : থানায় জিডি


প্রকাশের সময় : মে ১০, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ন / ৩১
খুলনার পাইকগাছায় ঘের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে যমের চিঠি : থানায় জিডি

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ খুলনার পাইকগাছায় ঘের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে যমের চিঠি প্রদান করার ঘটনায় পাইকগাছা থানায় জিডি হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কে বা কারা ঘের ব্যবসায়ী মাসফিয়ার রহমান সবুজের পৌর সদরের বাতিখালীস্থ বাসায় সাদা কাগজে লেখা একটি চিঠি ফেলে রেখে যায়। ১০ লাইনের ওই চিঠিতে ঘের ব্যবসায়ী মাসফিয়ার রহমান সবুজকে ১০ দিনের মধ্যে ঘের ছেড়ে দেওয়া এবং ২/৩ দিনের মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিং করেন সবুজ দম্পতি। সবুজের স্ত্রী তন্বী রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে বাসার কাজের লোক ঝাড়ু দেওয়ার সময় বাসার ভিতরে দরজার সামনে একটি খাম পড়ে থাকতে দেখে খামটি নিয়ে আমার কাছে দেয়। উক্ত খামের ভিতরে একটি চিঠি ছিল। চিঠিতে জীবন নাশের হুমকি সহ ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চিঠিটি পড়ে সাথে সাথে আমি আমার স্বামীকে দ্রুত ঘের থেকে বাসায় আসতে বলি।

মাসফিয়ার রহমান সবুজ বলেন, চিঠিতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুতলাখালী ঘের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তা নাহলে আমার অবস্থা রবি ও মাহবুবের মতো হবে, আমাকে মেরে লাশ গুম করে মরহুম বাবা ফসিয়ারের কাছে পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দল গোছাতে টাকা দরকার এজন্য ২/৩ দিন পর তাদের লোক আসলে তাদের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা নিলে আমার এবং আমার পরিবারকে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিটির শেষে ইতি তোর জম লেখা রয়েছে।

এ দিকে মাসফিয়ার রহমান সবুজ প্রেস ব্রিফিং’এ আরো অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির ডাঃ আব্দুল মজিদ গুরু রুপের তুষার ও মুছার ইন্দোনে আমার প্রতিপক্ষ শিব পদ সরকার, সত্যজিৎ সরকার ও ক্লিনটন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছি। আমি এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। যার নং ৪২৩ তারিখ ০৯-০৫-২০২৫।

এছাড়াও সুষ্ঠু ভাবে ঘের পরিচালনা এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সবুজ দম্পতি।

এ বিষয় পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ইদ্রিসুর রহমান জানান, এ বিষয় শুনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই সংক্রান্তে থানায় জিডি হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।