• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩, ২:১৭ অপরাহ্ন / ৬৫
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বৈধ নিয়মকানুন মেনে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালকরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেসবুক গ্রুপ পদ্মা সেতুতে বাইক চলার দাবি ও বাংলাদেশের সকল বাইক চালক গ্রুপের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরাও গর্বিত অংশীদার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুযায়ী ‘আমার টাকায় আমার সেতু’। তাহলে আমার সেতুতে আমরা কেন মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে পারবো না? পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল, এটি সাময়িক সময়ের জন্য। কিন্তু ৮ মাস অতিবাহিত হলেও মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই আজকে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

তারা আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অজুহাতে বাইক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অন্য যানবাহন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সেগুলো বন্ধ করা হয়নি। দক্ষিণ বঙ্গের লাখ লাখ বাইকারের লালিত স্বপ্ন পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের মাধ্যমে সকালে ঢাকা এসে অফিস করে বিকেলে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া, যা প্রধানমন্ত্রীরও চাওয়া ছিল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাইকারের জন্য আজও অধরা।

যে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে, ট্রলার, লঞ্চ ও ট্রাকে বাইক পারাপার তার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। পদ্মা নদী পার হতে লঞ্চে ৪৫০ টাকা ও ট্রাকে এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। যা বাইকারদের জন্য কষ্টসাধ্য।

পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ করায় সরকার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই সেতুতে বাইক চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সরকার কর্তৃক আরোপিত সব বৈধ নিয়মকানুন মেনে বাইক চলাচলের অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তারা। পাশাপাশি অবিলম্বে দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বাইকাররা।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান দীপন, সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম (বাবু), সদস্য সচিব এস. এম নাইম, সদস্য হোসেন আরাফাত, আরিফুর রহমান ও লালন ফকিরসহ অনেকে।