• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠার পর রুমে মিলল তরুণীর ঝুলন্ত লাশ


প্রকাশের সময় : জুলাই ২০, ২০২২, ৩:৪৯ অপরাহ্ন / ২৪৬
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠার পর রুমে মিলল তরুণীর ঝুলন্ত লাশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের স্কুল পড়ুয়া চার বন্ধু গত ১৭ই জুলাই রবিবার রাত ১০টায় শরীয়তপুর থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠেছিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে। ওই হোটেল থেকেই তাদের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রোজগার্ডেন হোটেলের ৪র্থ তলার ডি-৩ নম্বর রুম থেকে ওই তরুনীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ।

হোটেলের রেজিস্ট্রার বুক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, নিহত ওই কিশোরী শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার নাম সাদিকা ইসলাম রিচি, পিতা মো: শহিদুল ইসলাম, সাথে থাকা কথিত স্বামী রায়হান খান। অপর দু’জন মিথিলা সিকদার ও রিফাত। তারা শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার গৈদ্যা গ্রাম থেকে এসেছেন।

মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য তার সাথে থাকা তিনজনসহ হোটেলের ম্যানেজারকেও নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে চারজন আলাদা দুটি রুমে ওঠে। পরদিন সন্ধ্যায় নিহতের রুমমেট বাইরে থেকে এসে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় হোটেলের ম্যানেজারকে ডাকা হয়। পরে জানালা ভেঙে দেখা যায় কিশোরীর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। এমন পরিস্থিতিতে থানা ও টুরিস্ট পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত কিশোরীর মামা সজিব রায়হান জানান, বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। বান্ধবীর বাড়িতে না গিয়ে সে যে কুয়াকাটায় গিয়েছে, তা জানা ছিল না কারো। হোটেলে কিশোরীর রুমমেট ছিল যে কিশোর সেও বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল বলে জানান তার বাবা উজ্জল খান। তবে এই দুজনের মধ্যে প্রেম ঘটিত কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তা বলতে পারেননি কেউই।

হোটেলে ওঠা অন্য কিশোরীও বাসায় মিথ্যে বলে কুয়াকাটায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা। তিনি জানতেন তার মেয়ে স্কাউটসের ট্রেনিংয়ে আছে। এই কিশোরীর রুমমেট কিশোরও মিথ্যা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন বিয়ে তো করেইনি বরং সে খালার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে গিয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলে কী ভাবে রুম পেলো তারা? এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করতে চান তারা। জানালেন, বিশ্লেষণ শেষেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।