• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

নড়াইলের নড়াগাতীতে মুক্তিযোদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টায় অভিযোগ দায়ের


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২২, ১১:১৯ অপরাহ্ন / ১২২
নড়াইলের নড়াগাতীতে মুক্তিযোদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টায় অভিযোগ দায়ের

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার উত্তর ডুমিরীয়া গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেকেন্দার আলী (৬৮) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোঃ সাইদুল ওরফে কিনাই মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যা (৩০) এর বিরুদ্ধে। ০৮ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৭ টায় নড়াগাতী বাজারে চা পান করে আশরাফের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই তিনি অভিযুক্ত নাজমুলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেকেন্দার আলী ওই গ্রামের মৃত আঃ জলিল মোল্যার ছেলে।

অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নাজমুল মোল্যা ও প্রতিবেশী মৃত আবুল শেখের ছেলে রজব আলী শেখের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে তারা বিভিন্ন সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার হুমকি দিত। ঘটনার দিন সকালে নড়াগাতী বাজার থেকে চা পান করে ফেরার পথে নাজমুল মোল্যা তার কাছে থাকা গামছা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার গলা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাঁর আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে নাজমুল বিভিন্নভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এছাড়া গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ সকাল সাড়ে ৭ টায় মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী মোটরসাইকেলে নড়াগাতী বাজারে আসার পথে রজব আলী ঘোড়ার গাড়ী ডানে চাপ দিয়ে তাকে রাস্তার নিচে ফেলে দাড়িয়ে থাকে। অতঃপর স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়েও তিনি ওই দিনই একটি অভিযোগ দাওয়ের করেছিলেন। এ সকল ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী। সুষ্ঠ বিচার না হলে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি মানববন্ধন করবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে অভিযুক্ত নাজমুল মোল্যার বাড়ীতে গেলে তাকে বা পিতাকে পাওয়া যায়নি। তার মা মনোয়ারা বেগম নাজমুলের ফোন নম্বর দিতেও অস্বীকৃতি জানান। জানা যায় নাজমুলের পিতা কিনাই মোল্যা এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ তরিকুল আলম মুন্নূ বলেছেন, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।

নড়াগাতী থানার অফিসার ইনজার (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।