• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মুরাদ সিকদারের প্রতারণাল শিকার প্রবাসীসহ অনেকে


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন / ১০
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মুরাদ সিকদারের প্রতারণাল শিকার প্রবাসীসহ অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের সীতারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের জায়গা বর্তমানে জায়গার ওপর একটি সীতারামপুর কিন্ডার গার্ডেন স্কুল নামক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই জায়গার প্রকৃত মালিক মুরাদ আলী সিকদার। সে এই জায়গা দেখিয়ে ইতালি প্রবাসী সিহাব উদ্দিন (সোহাগ) সহ আরো লোকজনের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর মৌজার জেএল নং – ১৪৫, খতিয়ান নং – ৩২০, দাগ নং – ২৫৮৯ এর ৭.২৫০ শতাংশ জমির ও জমির ওপরের সকল স্থাপনা সহ বিক্রয় করেন প্রতারক মুরাদ আলী সিকদার। সিহাব উদ্দিন সোহাগ এই জায়গা বাবদ মুরাদকে ৯ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। দলিল করার তারিখ পড়লে পালিয়ে যায় মুরাদ। আজও পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতারক মুরাদ। এদিকে নগদ টাকা দিয়ে পথে পথে ঘুরছে বিদেশ প্রবাসী ও তার পরিবার।

এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদি হয়ে রামদিয়া তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আভিযোগে মুরাদ আলী সিকদারকে ১নং আসামী, তার স্ত্রীকে ২নং ও তার ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী মুন সিকদারকে আসামী করা হয়। এ ব্যাপারে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, মুরাদ সিকদার তাদের সম্মুক্ষে প্রবাসী সোহাগের নিকট হতে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এই জমি বিক্রি বাবদ। আমরা যেদিন এই জমির দলির করার জন্য মুরাদের কাছে শুনে সময় নির্ধারণ করি। সে সময় সে রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত না হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে প্রতারক মুরাদ সিকদারের স্ত্রীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী ওদের কাছে জমি বিক্রি করেছে তা আমি প্রথমে জানতে পারি নাই, পরবর্তীতে আমি যখন ব্যাপারটি জানতে পারি তখন তার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে কলহের সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। আর ওদের কাছ থেকে আমার স্বামী জমি বাবদ টাকা নিয়েছে ৪ লক্ষ টাকা ৯ লক্ষ টাকা নেয়নি। প্রতারক মুরাদ আলী শেখের স্ত্রী কিছুই জানে না তার স্বামীর জমিজমার ব্যাপারে কিন্তু ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে তার স্বামী তা সে জানে। গণমাধ্যমকর্মীদের সরেজমিন তদন্তে এবং এলাকাবাসীর বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হয় মুরাদ সিকদার তার পরিবারের লোকজন এই জমি দেখিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা
করেছে।

এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ইতালি প্রবাসী। সে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থাকে। বিবাদীরা সীতারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিসের পাশে ঘর বাড়ি সহ ৭.২৫ শতাংশ জমি আছে উক্ত জমি বিক্রয় করিবে বলিয়া আমার স্বামী ও আমার সহিত কথা বার্তা হয়। উক্ত জমির ক্রয়মূল্য ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা নির্ধারণ হয়। বিবাদীদের টাকার প্রয়োজন হইলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আমার স্বামীর নিকট হইতে বাড়ির জমি বিক্রয়ের জন্য বায়না স্বরূপ ৩০/১০/২০২৩ ইং তারিখ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং দ্বিতীয় তারিখ ২৭/১২/২০২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, মোট: ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা গ্রহন করেন। বিবাদীদের সহিত কথা থাকে যে, বিবাদীরা ১০/০৩/২০২৪ইং তারিখ উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দিবেন কিন্তু বিবাদীরা উক্ত জমি রেজিস্ট্রার না করে দিয়ে তালবাহানা করে বিভিন্ন তারিখ ও সময় ঘুরাইতে থাকে এক সময়ে দেখা গেল সে পালিয়েছে। ১৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে আমার নিকট জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার কথা বলিলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি, হুমকি দিয়া বিবাদীরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।