• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আর্সেনিক জরিপকারীদের টাকা কর্মকর্তার পকেটে


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২৩, ৭:০২ অপরাহ্ন / ৬২
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আর্সেনিক জরিপকারীদের টাকা কর্মকর্তার পকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৬৬ জন মাঠ জরিপকারীদের (টেস্টার) সম্মানী বরাদ্দের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে।

সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য শর্ত সাপেক্ষে মোট ৬৬ জন নলকুপ পরীক্ষক/তথ্য সংগ্রাহক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

নিয়োগকৃত জনবলের প্রতি ২ জনের ১টি টিম করে ১টি ইউনিয়নে মোট ৩টি গ্রুপে ৬ জন তথ্য জরিপকারী নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের প্রতি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শ টি নলকুপ তথ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০২০ সালে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে জানুয়ারীতে প্রকল্প সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতি টিবওয়েল গণনায় ভাতা ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যই তথ্য সংগ্রহকারীরা ১০টি ইউনিয়নে জরিপ কাজ শেষ করে সোনাইমুড়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ বুঝিয়ে দেন। ৩৭ হাজার ৫৩০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আগে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা করে। ২১শে মার্চ মঙ্গলবার তথ্য সংগ্রহকারীদের ৬৬ জনকে পূণরায় ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে রেভিনিউ স্ট্যাম্পে সাইন করিয়ে নেয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জনপ্রতি বাকি ২,৫৩০ টাকা করে মোট ৬৬ জন থেকে মোট ১৬৬.৯৮০ টাকা করে হাতিয়ে নেয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্তারা।

আর্সেনিক পরীক্ষক আরমান জানান, রেভিনিউ স্ট্যাম্পে সাইন করে আমাদের আড়াই হাজার টাকা করে কম দিচ্ছে। প্রতি জনকে ৩৫ হাজার টাকা দিলেও বাকি ২ হাজার ৫৩০ টাকা ইনকাম ট্যাক্স খরচ দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন বলেন, কেনো এই টাকা কেটে নিচ্ছে এমনটা জানতে চাইলে কর্মকর্তা নয় ছয় হিসেব দিচ্ছে। পরবর্তীতে এ টাকা আর দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও কর্মকর্তা জানিয়ে দেয়। তারা এর সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল আনোয়ার হোসেন বলেন, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আগে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে এখন ১০ হাজার টাকা দিচ্ছি। সব টাকা পাশকরা হলে পাবে নইলে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাকি আড়াই হাজার টাকা কোথায় গেলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলায় দেখেন সব টাকা পেয়েছে কিনা? আমরা তো তারপরও অনেক টাকা দিয়েছি। একই জিপিএস দিয়ে তারা অনেক গুলো এপ্রুব করেছে। টাকা পেলে দিবো তা না হলে পাবে না।