• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে আহত ৪০ : পুলিশ ফাঁড়ীতে আগুন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১১, ২০২৩, ১০:০৩ অপরাহ্ন / ৭২
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে আহত ৪০ : পুলিশ ফাঁড়ীতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাস সুপারভাইজার ও স্থানীয়দের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে ২ ঘন্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িসহ কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারেও আগুন দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। আরো আসতেছে। গুরুতর আহত ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়ছেন কয়েকশত স্থানীয়। তাদের ছোঁড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এরআগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী। এ সময় সাংবাদিকের উপরও হামলা করেন তারা।

ছাপচিত্র বিভাগের আহত শিক্ষার্থী আকাশ জানান, আমি রাস্তার উপরে ছিলাম হঠাৎ স্থানীয়রা আক্রমণ করেন। এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

আরেক আহত শিক্ষার্থী বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে গেটের দিকে গেছিলাম তখন বাহির থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারো কন্টাক্টারের সাথে ঝামেলা বাধে।

তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড় হন এবং স্থানীয় দোকানদারে উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এক জোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন।

এসময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।

এই ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।