• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

ওবায়দুল কাদেরের দুই ভাগিনাকে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যার হুমকি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৪, ২০২১, ৪:৫২ অপরাহ্ন / ১৬০
ওবায়দুল কাদেরের দুই ভাগিনাকে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যার হুমকি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু ও স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাতকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার একটি কক্ষ থেকে শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছ রাসেল তার অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এ হত্যার হুমকি দেয়।

কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম। চলতি বছরের মে মাসে বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়াতে অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া ও গুলি করছেন এমন একটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাৎক্ষণিক ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে পেয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে পুলিশ অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল ও পিচ্ছি মাসুদকে গ্রেফতার করেনি। এ ছাড়াও এই অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে ২০-২২টি মামলা রয়েছে।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৮মিনিট ৩০ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওটি প্রচার করেন শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল। লাইভে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কেচ্ছা রাসেল বলেন, আমি বলতে চায় মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আমেরিকাতে। তিনি কোন কিছুর সাথে জড়িত নেই। মেয়রের কর্মিরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পৌরসভাতে অবস্থান করতেছে। আজকে যারা আবার ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরী করতেছে। এটার খেসারত কত ভয়ানক হবে সেটা কল্পনাও করতে পারবেনা মঞ্জু। তুই পরিস্থিতি তৈরী করো,তোকে যে কোন মুহূর্তে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসব, ওপেন ডিক্লেয়ার দিলাম। তুই এর জন্য প্রস্তুত থাক। কয়টারে গুলি করবি, তোর কাছে কত অস্ত্র আছে দেখা যাবে। বাংলার মানুষ দেখতে চায় তুই কত মানুষ হত্যা করতে পারোস। ছাত্রলীগ নেতা রাহীম, শাকিল ও যুবলীগ নেতা রাজীবকে আজরাইল মাফ করলেও আমরা মাফ করবনা।

কেচ্ছা রাসেল আরও বলেন, মঞ্জু তুমি বহু ক্রিমিনালী করতেছো। তোর পরিস্থিতি কি হবে কল্পনাও করতে পারবেনা। রাহাত-মঞ্জুর মাকে বলতে চাই আপনার ছেলেদের সাবধান করুন। আপনাদের ছেলে কোম্পানীগঞ্জকে কি পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে কল্পনাও করতে পারবেননা। আপনি মন্ত্রীর বোন এসব গুলার খানা নেই। আবার মিছিল করতেন আপনার পোলার জন্য। রাজনৈতিক মামলা ২০-৩০টা দিয়ে তুই আমাদেরকে ক্রস ফায়ার দিবি। ক্রস ফায়ার আমি সকাল বিকাল নাশতা করি। মনে রাখিস রাহাত তুই মনে করস আমরা এখানে ঢরে লুকিয়ে আছি। মনে রাখিস, রাহাত কোথায় যাবি। তুই একদিন পড়ে যাইবি। অসুবিধা নাই, যে দিন তোর হিসাব নিকাশ ঘোলায় যাইবো। আজরাইল হোন্দালেই….দাঁড়ায় যাবি। তোরে পাই যামু। তোর পরিস্থিতি কত কঠিন হবে এক মাত্র আল্লাহ জানে। মনে রাখিস রাহাত। কোম্পানীগঞ্জের মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল নই।ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। রাহাত মরি গেলে হাড্ডি পর্যন্ত নিয়ে বিক্রি করে ফালামু। কোথায় যাইবি। তোমাদেরকে পাপে হোন্দাইছে…পাপে হোন্দালে….মানুষ বাঁচেনা। আমাদের চিরুনী অভিযান আবার চালু হবে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, বসুরহাট পৌরসভার একটি কক্ষ থেকে লাইভে এসে অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল বিশ্রী ভাষায় আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি সেতুমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ অস্ত্রধারীর ঔদ্ধত্যপূণ্য আচরণ ও হত্যার হুমকির ঘটনায় তাকে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । এর আগেও কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুীরসহ অন্তত ২৫-৩০জন নেতাকর্মির উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। সে ২০-২২ মামলার আসামি। অস্ত্রহাতে তার গুলি ছোঁড়ার ভিডিও ভাইরাল হলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সে বসুরহাট পৌরসভায় কাদের মির্জার অনুসারী একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ে অবস্থান করছে এবং পুলিশের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করছে। । কিন্তু দুঃখের বিষয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। কোম্পানীগঞ্জে কি কোন আইনের শাসন নেই।