• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

লক্ষীপুরের রায়পুরে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ের সড়ক ৬ দিনেই শেষ!


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২, ১২:৪৩ অপরাহ্ন / ২২১
লক্ষীপুরের রায়পুরে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ের সড়ক ৬ দিনেই শেষ!

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে পানপাড়া সড়কটি ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের শেষ হওয়ার ৬/৭ দিনের মাথায় উঠে আসছে পিচ। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করে এলাকাবাসী হাত দিয়ে সড়কের পিচ তুলে ফেলেন। প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে নিম্নমানের সংস্কারকাজ করায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কের কিছু অং‌শের পিচ ঢালাই তুলে ফেলেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হওয়ার চারদিনের মাথায় সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে। পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতোম‌ধ্যে যান চলাচল শুরু হওয়ায় এই কার্পেটিং অনেক জায়গায় উঠে গেছে।

নিয়ম অনুসারে কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা।অভিযোগ উঠেছে, তা না করে ঠিকাদাররা গাছের পাতা ও ময়লার উপরই চালিয়েছেন কার্পেটিংয়ের কাজ। সড়কের তিন কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে পল্লী সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট মেরামতকরণ জিওবি মেইনটেন্যান্স প্রকল্পের আওতায় খানাখন্দে ভরা ছয় কিলোমিটার সড়কের সংস্কার অনুমোদন হয়।

এলজিইডির রায়পুর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ‘সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এলজিইডি মন্ত্রনালয় থেকে আরসিআইপি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স তমা এন্টারপ্রাইজ ও এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং দেড় বছর আগে কাজটি শুরু করেছিল। প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকায় বরাদ্দ হয়েছে।অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় শেষ সময়ে এসে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে কাজটি শেষ করেছে ঠিকাদারি দুই প্রতিষ্ঠান।

নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার আবু তাহের ও ভুলু চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, এটি এলজিইডি লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর এলজিইডি প্রকৌশলীরা দেখভাল করেন। প্রতিনিয়ত কাজের মান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। তারপরেও নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নেবে আমরা সেটা মানতে রাজি।’

সংস্কারকাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা জানিয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বলেন, গুরুত্বপুর্ণ সড়কটির সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সরজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।