• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

বুধবার খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন,নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩, ১১:০৩ অপরাহ্ন / ৭৭
বুধবার খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন,নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা

খুলনা অফিসঃ দীর্ঘ ৮ বছর পর খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে বটিয়াঘাটা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন। তবে এই সম্মেলনে কারা হবেন কাউন্সিলর তা নিয়ে শুরু হয়েছে নিয়েই নেতা-কর্মীদের মধ্যে জলপনা কল্পনা। চাপা ক্ষোভের মধ্যে দিয়ে উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে সর্বোচ্চ। ইতোমধ্যেই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন বাস্তবায়ন করতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আ’লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আগামী সম্মেলনের পদ নয় কাউন্সিলর হতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে লবিং গ্রুপিং। এমনকি সম্মেলনে কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে বিস্তর অভিযোগও রয়েছে। তৃণমূলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাদের অনেকেই কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছে। এদিকে সম্মেলনে কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়েই উঠে এসেছে নানা অভিযোগে। দীর্ঘ আট বছর ধরে বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে কি নেই,তা নেতা-কর্মীরা আদৌ জানতে পারেনি। তাহলে কিভাবে হবে সম্মেলনের কাউন্সিলর নির্বাচন? এসব নানাবিধ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারণ জনতার মধ্যে। সভাপতি পদে বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম খান ও জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোল্লা মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪ জন। তারা হলেন,যথাক্রমে বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলীপ হালদার, উপজেলা আ’লীগ নেতা ও বটিয়াঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুইপ তনয় পল্লব কুমার বিশ্বাস রিটু ও জলমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধান রায় এবং উপজেলা আ’লীগ নেতা রবীন্দ্রনাথ দত্ত। উল্লেখ্য সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো ২০ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু কোন এক কারনে তা পিছিয়ে পরির্বতন হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে সভা মঞ্চ তৈরি থেকে শুরু করে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপিদের ছবি সম্বলিত প্যানা-পোস্টে ও মাইকিং করে এলাকায় শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। তৃণমূলের নেতারা বলছেন,দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ১৭ দিন পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি দলটির সভাপতি সম্পাদক। তারা দু’জনেই দল পরিচালনা করছেন এমনটাই দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যথাসময়ে সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্ব তৈরিতে বাঁধা এবং হাতে গোনা কয়েকজনের কব্জায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বৃহত্তম দলটির কার্যক্রম। মূল দলের পাশাপাশি সহযোগি কিছু সংগঠনের অবস্থা অনেকটাই একই রকম। যার ফলে হতাশায় ভুগছেন তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা। নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের সেতু এমন প্রশ্ন অনেকের। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও আট বছরে এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটির দেখা মেলেনি বলে অনেক ত্যাগি নেতা-কর্মীর মন্তব্য। তাদের মতে সভাপতি সম্পাদক দিয়েই চলছে উপজেলা ও অধিকাংশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি। উপজেলার প্রায় সাতটি ইউনিয়ন কমিটির চিত্র একই। দলীয় গঠনতন্ত্রে রয়েছে কমিটিতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলন নির্বাচন করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলর নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে, এমন তথ্যই জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে অভিযোগ ও ক্ষোভ থাকলেও দীর্ঘ আট বছর পরে সম্মেলন হবে এমন খবরে নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। দলীয় সূত্রে জানা যায়,সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে সাবেক উপজেলা আ’লীগের সভাপতি পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি’র সাথে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খানের প্রতিদ্বন্দ্বীতা হলে পঞ্চানন বিশ্বাস সভাপতি পদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম খান ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলীপ হালদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই থেকে চলে আসছে দলের কার্যকারিতা। তবে অনেকে বলছেন, দলের পরিবর্তন হওয়া উচিত।