• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩, ১০:৩৪ অপরাহ্ন / ২১৯
ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,গাজীপুরঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষ্য সকাল সাড়ে ৭টায় স্কুল এন্ড কলেজ ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর অদ্যক্ষ স্যারের নেতৃত্বে ভাষা শহিদদের স্বরনেএকটি বর্ণমালার মিছিল বের হয় মিছিল টি মন্ডলপাড়া মোল্লাপাড়া বাড়ইপাড়া চন্দ্রা পলানপাড়া পল্লীবিদুৎ প্রধান প্রধান সড়ক পরিদক্ষন করে কলেজ মাঠে এসে শেশ হয় পরে কলেজ মাঠে নির্মিত শহীদ মিনারে ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষে সেখানে অদ্যক্ষ মোঃ মানিক হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এবং ভাষা শহিদের স্বরনে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করেন

এ সময় প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর পরপরই ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। পরে বিদ্যালয় মাঠে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ভারটেক্স একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অদ্যক্ষ মোঃ মানিক হোসেন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মাতৃভাষা সৃষ্টিকর্তার দান। তাই কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করা যাবে না। মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে, মর্যাদা দিতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে মাতৃভাষা চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে। মাতৃভাষা চর্চা বা ব্যবহারে ধর্মের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই। আসলে মাতৃভাষাকে আমাদের মনে স্থান দিতে হবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালেই ঘোষণা দিয়েছিলেন আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসবো সেদিন থেকেই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালু হবে, আর কোনো ঘোষণা লাগবে না। অদ্যক্ষ বলেন ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমিতে একুশের আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি সেদিন পৃথিবীর জ্ঞানরাজ্যে টিকে থাকতে বাংলাভাষা চর্চা ও প্রসারে সর্ম্পকে জ্ঞানলাভে অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তারপর বাংলা একাডেমিতে অনুবাদকেন্দ্র খোলা হলেও পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক জাতির আত্মপরিচয়ের উপাদান থাকে, আর তা হচ্ছে ওই জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি। বাঙালির হাজার বা তারও কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যাবে সে প্রতিনিয়ত বহিরাগত শক্র, শাসকগোষ্ঠী, দখলদারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। চিরকাল বাঙালি সংগ্রাম করে টিকে থেকেছে এবং সে অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে কিন্তু নিজ ভাষাকে বর্জন করেনি। আরও একটি দিক লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে বহিরাগত শক্তি এদেশে এসে শাসন করেছে, সম্রাজ্য বিস্তার করেছে। কিন্তু তারপরও তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং এ ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে কিছু নিয়েছে। তিনি শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা এবং বিশেষ করে কারিগরি ও চিকিৎসা বিদ্যায় বাংলা চর্চার ওপর জোর দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান শহিদুল ফারুক এনামুল শাহিন রাজ্জাক এসএম মজনু, লিপি মুন্নি সানজিদা পূজা সরকার শিরিন জান্নাতুল রুকাইয়া

বিকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করা হয় এদিকে দিবসটিতে বাদ যোহর ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।