• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাঠে চলে রাতভর জুয়া খেলার আসর


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩, ১০:৩৩ অপরাহ্ন / ৫৩
সুনামগঞ্জে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাঠে চলে রাতভর জুয়া খেলার আসর

নিজস্ব প্রতিবেদক,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজারে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার নামে চলছে রাতের আঁধারে ক্যাসিনো জুয়া খেলা,মাদক সেবন,জারনি ক্যাসিনো শুধু তাই নয় এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার নামে ধংশের দাড়প্রান্তে পৌছে দেওয়া হচ্ছে যুব সমাজকে। তিন দিনের এই মেলায় প্রতি রাতে বসে দলে দলে জুয়া খেলার আসর। পাশাপাশি জারনি মুকুট, রিং খেলা, মাদক সেবন সহ এমনকি খোলা মাঠে নৃত্য পরিবেশন করানো হয় মহিলা শিল্পীদের দিয়ে । আর আনাচে কানাচে ছোট ছোট তাবু ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক উপরে। দেখতে ছোট ছোট ঘর হলেও রাত বারোটার পর থেকে শুরু হয় ঐ সমস্ত তাবুতে বড় বড় মাদক সেবনও জুয়া খেলার আসর। যা যুবসমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পরিবেশের জন্ম দিচ্ছে। আর এসমস্ত কার্যকলাপ দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় কিছু পঞ্চায়েত নামধারী কিছু অসাধু ইউ.পি সদস্যরা ।

গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে পুলিশের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক ভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ঐসমস্ত ছোট ছোট জুয়ার তাবু গুলি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এমনটাই প্রকাশ পায় মেলা চলাকালীন সময়ে। জানা যায় মেলায় মাইকিং করে নিষেধ করা হয়েছিল মেলার ভিতরে কেউ যাতে মোবাইল ফোনে কোন ছবি ধারণ করতে না পারে । সেই জন্য চেয়ারম্যান এবং ইউ/পি সদস্যদের সমন্বয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এলাকার কিছু উশৃঙ্খল ছেলেদের রাখা হয়েছে । যদি কেউ ঐ সমস্ত জুয়া খেলা বা মাদক সেবনের ছবি তুলে তাহলে তার ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল মেলা কমিটির পক্ষ থেকে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এবং মেলা আসা লোক জনের সাথে আলাপ করে জানা যায় কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করেই রাতের বেলায় চলেঐ সমস্ত কার্যকলাপ?
জানা যায় ঐ এলাকার সুশীল সমাজের মুসলিম জনতা এ সমস্ত জোয়ার আসর না দেওয়ার জন্য জানালেও তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হয়নি বরং সুশীল সমাজের তোয়াক্কা করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে মেলা নামে রাতের অন্ধকারে কুয়াশার আড়ালে জুয়া খেলা আয়োজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায় অনেকে জানিয়েছেন তারা দূর দূরান্ত থেকে এসে রাতের বেলায় ঐ সমস্ত অসাধু কার্যকলাপ দেখে অনেকে ঘোড়া নিয়ে ফিরে গেছেন তাদের নিজ নিজ গ্রামে।
এভাবেই যদি চলতে থাকে সুনামগঞ্জের পরিবেশ তবে যুব সমাজ ধ্বংস হতে আর বেশি দূরে নয় শুধু সময়ের ব্যাপার এমনটি ধারনা করছেন সুশীল সমাজের মানুষেরা । সুনামগঞ্জ গণগণ মেলা আয়োজন করে লুটে নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা l করুণা মহামারী বন্যা দুর্যোগ পরপরই ঘন ঘন মেলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে? ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুনামগঞ্জের ভারসাম্য এবং পরিবেশ রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই দাবি তাদের।
এব্যাপারে মোল্লাপাড়া ইউ/পি সদস্য আবুল হোসেনের কাছে জানানে চাইলে তিনি বলেন গ্রামের সবাই যে দিকে আমি ও সেই দিকে থাকতে হবে তাই কমিটির দায়িত্ব পালণ করছি।
এব্যাপারে মোল্লাপাড়া ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক সাংবাদিকদের কাছে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ বলে জানান।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এহসান শাহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি আমাদের প্রশাসনের লোকদের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় কথা বলতে নারাজ।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করি সেখানে এখন একটি ও তাবুনেই সব পন্ড করে দেওয়া হয়েছে।