• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমিকের সাথে দেখা অতঃপর প্রেমিকার মৃত্যু


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩, ২:৪৯ অপরাহ্ন / ৬৯
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমিকের সাথে দেখা অতঃপর প্রেমিকার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক,বেনাপোল,যশোরঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমিকের সাথে দেখা এবং ঘুরতে এসে ঝিকরগাছার মিস্ত্রিদেয়াড়া বাজারের একটি হোটেল থেকে নাস্তা করার অতঃপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী (প্রেমিকা) তানজিলা খাতুন (১৭)। সোমবারে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা প্রেমিক মুন্নাকে আটকে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ হোটেল মালিকের ছেলেকে থানায় নিয়ে এসেছে। স্থানীয় ক্লিনিক থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের পিতা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালী গ্রামের আমজেদ খালাসীর মেয়ে পাকশিয়া সম্মিলনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তানজিলা খাতুন (১৭) সাথে চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের বাড়িয়ালী গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মুন্নার (১৮) দীর্ঘ দিনের প্রেম চলছিল। প্রেমের সূত্র ধরে তানজিলাকে বিয়ে করবে বলে প্রেমিক মুন্না সোমবার এ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে ঝিকরগাছা ছুটিপুর বাজারে আসতে বলে। এদিন সকালে বাড়ি থেকে মেয়েটি কাশিপুর তার বান্ধবীর বিয়েতে যাবে বলে তার নিজের জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে বের হয়। পরে ছুটিপুর বাজার থেকে প্রেমিক মুন্না ও তার তিন বন্ধু তানজিলাকে ঝিকরগাছার মিশ্রিদেয়াড়া বাজারের রবিউলের হোটেলে নিয়ে আসে। তারা রবিউলেল ছেলের কাছ থেকে নাস্তা খায়। পরপরই তানজিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার জন্য প্রেমিক মুন্নাসহ তার বন্ধুরা ছুটিপুর বাজারের সীমান্ত ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ক্লিনিকের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয় । এসময় স্থানীয়রা মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রেমিক মুন্নাকে আটকে রাখে। মুন্নার দুই বন্ধু পালিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ প্রেমিক মুন্নাসহ তার বন্ধুরা তানজিলাকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

ডিহি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ধরে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রেমিক সহ তার বন্ধুরা মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা জানিনা।

এবিষয়ে ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যায় মেয়েটির লাশ ছুটিপুর সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। মৃতের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে জিঙ্গাসাবাদের জন্য প্রেমিক মুন্নাসহ হোটেল মালিকের ছেলে আবিরকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।