• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলার তদন্তের জট খুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২, ১:০৮ পূর্বাহ্ন / ৫২৪
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলার তদন্তের জট খুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

এনামুল হক কাজল,ঢাকাঃ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। ডিআরইউ’র সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।

গত দশ বছরে ৮৫ বার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পরিবর্তনের ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, তদন্ত কার্যক্রমে পুলিশের ওপর আমরা আস্থা পাচ্ছি না। বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তারা। এ জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দরকার।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, সাগর-রুনী হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আমরা একই দাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
ডিআরইউ এর সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো: আল-আমিন এবং এসকে রেজা পারভেজ। এছাড়া দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য কুদরাত-ই খোদা এবং মইনুল আহসান।
সাগর সারওয়ারের শেষ কর্মস্থল মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, যিনি ডিআরইউ এর সাবেক অর্থ সম্পাদক ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনীকে নৃশংসভাবে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হত্যাকাণ্ডের পর দশ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের আজও শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। এমনকি ৮৫ বার মামলার চাজশীর্ট প্রদানের তারিখ নেয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই মামলার খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবি করে বলেন, এভাবে সভা-সমাবেশ করলে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টনক নড়বে না। এজন্য প্রয়োজন সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনীর হত্যার বিচারের দাবীতে এবার ডিআরইউ তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে; যার প্রথম দিন ছিল মোমবাতি প্রজ¦লন। ডিআরইউ চত্বরে গত বৃহস্পতিবার রাতে মোমবাতি প্রজ¦লন কর্মসূচিতে সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহির সারওয়ার মেঘ এবং রুনির ভাই নওশের রোমান উপস্থিত ছিলেন।