• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পুরাতন মালামাল বিক্রয়ে অনিয়ম


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০২৩, ৪:১৭ পূর্বাহ্ন / ৪৯
রাজধানীর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পুরাতন মালামাল বিক্রয়ে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড অবস্থিত মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পুরাতন ব্যবহৃত কাগজ, নষ্ট ইলেকট্রিক ও স্যানেটারি মালামাল ও নষ্ট কাঠের মালামাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ বিক্রয় কমিটির বিরুদ্ধে। এই স্কুল এন্ড কলেজটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পত্তি বলে সূত্রে জানা যায় কিন্তু এই অনিয়ম কেনো এমন প্রশ্ন করেন অনেকেই।

পুরাতন মালামাল টেন্ডারে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী/অভিযোগকারী জানান, বিক্রয় কমিটির কিছু অসাধু কর্মকর্তা, বিক্রয় টেন্ডা্রে ৯০টি নষ্ট ফ্যান দেখিয়ে সর্বচ্চ দরদাতাকে ২২০টি নষ্ট ফ্যান এবং ১৫০০ কেজি পুরাতন ব্যবহৃত কাগজ দেখিয়ে ১০,০০০ কেজি পুরাতন ব্যবহৃত কাগজ দিয়েছে। যার জন্য সর্বচ্চ দরদাতার কোন লোকশান হবে না। এভাবে প্রায় ৪০ রকমের পুরাতন ব্যবহৃত মালামাল অনিয়মের মাধ্যমে বিক্রয় করছে।

বুধবার সরেজমিনে গেলে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অ্যাডমিন অফিসার আল আমিন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ দরদাতার নিকট মালামাল বিক্রয় করছি। যেমন নষ্ট ফ্যান আনুমানিক ১২০০ টাকা, পুরাতন ব্যবহৃত কাগজ আনুমানিক ৬০ টাকা কেজি ইত্যাদি। নষ্ট ফ্যান ১২০০ টাকা, পুরাতন ব্যবহৃত কাগজ ৬০ টাকা কেজি কি ভাবে বিক্রয় করলেন জানতে চাইলে তিনি কোন ‘সদুত্তর দিতে পারেনি।অন্যদিকে একজম শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে দূরব্যবহার করেন এবং সাংবাদিকরা যাতে কলেজে ডুকে কোন তথ্য নিতে না পারে সে জন্য সকল গেটের তালা লাগিয়ে দেয়।

এ সময় আরো সিকিউরিটি গার্ডদেরকে বলে দিয়েছে কোন সাংবাদিককে ভিতরে ডুকতে দিবে না। মোবাইলে ফোনে আল আমিন এর নিকট সর্বোচ্চ দরদাতার নাম, মোবাইল নং এবং প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা চাইলে তিনি না দিয়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সাংবাদিকদের বিদায় করেন।

এদিকে এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করার কারণে সারাদিন প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার কয়েকজন পুলিশ মোতায়েন করছে বলে একজন শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার কোম্পানি গণমাধ্যমকে বলেন, পুরাতন মালামাল সঠিক মূল্যে বিক্রি হলে তাতে তো, স্কুল কর্তৃপক্ষেই লাভবান হবে কিন্তু এতো লুকোচুরি কেনো? একটি পুরাতন ফ্যান বাজার মূল্য ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা সেখানে টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তি প্রতি পিছ ফ্যান ক্রয় করেছেন ১২/১৩ শত টাকা দিয়ে,এটা কি করে সম্ভব? নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো একটা অনিয়ম রয়েছে তাই কর্তৃপক্ষের যাচাই-বাছাই করা অতি জরুরী বলে মনে করি।