• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

যশোরের শার্শায় পাটের উৎপাদন খরচ উঠছেনা, লোকসনের মুখে চাষীরা


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ১:৩১ অপরাহ্ন / ২১৪
যশোরের শার্শায় পাটের উৎপাদন খরচ উঠছেনা, লোকসনের মুখে চাষীরা

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শায় চলতি বছরে পাট চাষের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তবে পাটের দাম কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পাট চাষিরা। এ বছর শার্শা উপজেলায় ৫ হাজার ৪ শ ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। উৎপাদন ভালোই হয়েছে। কিন্তু এবছর উৎপাদন খরচ পড়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী। আবার গত বছরের চেয়ে পাটের দামও এবছর অনেক কম। যে কারনে চাষিরা হতাশায় ভুগছেন।

উপজেলার সীমান্তবর্তী গোগা বাজার পাটের একটা বড়ো মোকাম। প্রতি মন পাট এখানে বিক্রি হচ্ছে ১৭ শ” টাকা থেকে ১৯ শ” টাকা। অথচ এই বাজারে গত বছর মৌসুমের শুরুতেই প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার টাকা থেকে ২৭ শ” টাকায়। সর্বশেষ সাড়ে তিন হাজার টাকায় প্রতিমন পাট বিক্রী হয়েছিল।

পাট চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর আমাদের অঞ্চলে পাট চাষ ভালো হয়েছে। তবে পাট চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং পাটের বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় এবছর আমাদের লোকসান হয়েছে।

বাগআঁচড়া বাজারে পাট বিক্রি করতে আসা কৃষক শাহাজান কবীর বলেন, হাটে এসে পাটের দাম শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। এত কষ্ট করে পাট আবাদ করে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছর যে পাট তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেছি সেই পাট এবছর বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র দেড় হাজার টাকায়।

পাট ব্যবসায়ী মিন্টু সরদার ও ওমর আলী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর মোকামে পাটের দাম কম। যার কারণে কম দামেই আমাদের পাট কিনতে হচ্ছে। মোকামের বাজার অনুসারে ভালো পাট দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং একটু নিম্ন মানের পাট দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে আমাদের।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার শাহ্ ‍‍ জানান, এবছর উপজেলায় ৫ হাজর ৪ শত ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে যারা পাট বিক্রি করেছে তারা ভালো দাম পেয়েছে। তবে এখন হাট-বাজার গুলোতে একটু কম দামে পাট বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।