• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

নাটোরের বড়াইগ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে পাশের বাড়ির গৃহবধুর মৃত্যু


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৯, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ন / ৪১
নাটোরের বড়াইগ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে পাশের বাড়ির গৃহবধুর মৃত্যু

মোছাঃ তাওহীদা ইসলাম তন্নীঃ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলর আগ্রান বাজার এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে মালেকা বেগম( ৪৫) পাশের বাড়ির এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

পারিবারিক ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়। মালেকা বেগম, সকালে ছয়টার দিকে তার শয়ন ঘরের পেছনে সাবমারসিবল মোটরের পানির লাইন দিতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত স্বামী দিদার আলম জানান, মাজগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল সরকার তার বাড়ির মার্কেটের মিটারটি বিল বকেয়া থাকায় দুই মাস আগে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে লোক এসে মিটার টি খুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান অন্য একটি মিটার থেকে এই তারের সঙ্গে কালেকশন দিয়ে সংযোগ করে লাইন চালায়, দিদার আলী আরো বলেন আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে অনেকবার সতর্ক করে বলা হয়েছে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বিদ্যুতের লাইনটি ঠিক করার জন্য কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি আমলে না নেওয়ায়, আজকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাজগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান আমার মার্কেটের মিটারটি দুই মাস আগে খুলে নেওয়া হয়েছে কবে খুলে নিয়ে গেছে আমি নিজেই জানিনা। এবং তিনি আরো জানান মার্কেটের কয়েকটি মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সবগুলা লাইনের তারের মাথা খোলা রয়েছে ,এটা পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের অপরাধ।

আমার কোন অপরাধ নাই। নিহতর মেয়ে উসমি খাতুন (২০) তিনি জানান এর আগেও আমি সহ আমার মা কয়েক বার তাকে বলিছি তারপরও বিদ্যুতিক লাইনটি অবৈধ সংযোগ দিয়ে রেখেছে। তাই আজ আমার মা সকালে পানির লাইন দিতে গিয়ে অবৈধ সংযোগ তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখে আমরা তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমি নিজে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের বউ কে বলছি ডাক্তারকে খবর দেন আমার মাকে বাঁচান চেয়ারম্যান সাহেব আমার কোন কথা শোনেন নাই ,মোবাইলও করেন নাই আমি এর শাস্তি দাবি করছি। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফিউল আজম জানান , আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং নিহতর বডি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের লোকজন বাদী হলে থানায় মামলা নেওয়া হবে।