• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

চাকরি করেন অন্য উপজেলায় সরকারি কোয়াটার দখল করে বসবাস খুলনার পাইকগাছায়


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৯, ২০২৩, ৯:৪৮ অপরাহ্ন / ১২৯
চাকরি করেন অন্য উপজেলায় সরকারি কোয়াটার দখল করে বসবাস খুলনার পাইকগাছায়

মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ অন্য উপজেলায় বদলি হওয়ার পরেও পাইকগাছায় এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারী কোয়াটার দখল করে বসবাস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু দখল নয় তিনি ডাক্তার না হয়েও ডাক্তারের সাইনবোর্ড টানিয়ে রোগী দেখছেন নিয়মিত।

জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্মরত থাকা কালীন সময়ে একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ,রোগীদের মারপিট। ইতিপূর্বে পাইকগাছার ৪ সাংবাদিকদের লাঞ্চিত ও মারপিট এবং তাদের নামে মিথ্যা মামলাও করেন তিনি। বারবার সংবাদের শিরোনাম হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে গত ৬ আগষ্ট কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করে। সেখানে যোগদান করলেও তিনি পূর্বের কর্মস্থলের কোয়াটার না ছেড়ে দখল করে স্বপরিবারে বসবাস করছে। বসবাসের পাশাপাশি নিয়মিত চেম্বার খুলে রোগীও দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় কপিলমুনি ইউপির সিলেমানপুর গ্ৰামের দুর্ঘটনায় আহত প্রতিবন্ধী মইন বিশ্বাস (১৩) কে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় দাদা আফসার বিশ্বাস। এসময় আহত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসা দিতে বলার অপরাধে তার দাদাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান শিশুটির দাদা আফসার বিশ্বাস। এসময় সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মামুনের এহেন কর্মকাণ্ডে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান।

উল্লেখ্য: গত ২০ জুলাই পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার সময় চারজনকে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করার ঘটনায় এক আদেশে বহুল আলোচিত পাইকগাছার কপিলমুনির আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্তের পর কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়। রোগীদের সাথে অসৌজন্যমুল আচারণের ব্যাপারে জানতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একাধিক বার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে তো বদলী হয়ে কয়রায় চলে গেছে। গত দিনের ঘটনাটি জানার পর আমি তাকে ফোন করেছিলাম। সে আমার কাছে কোয়াটার ছাড়ার জন্য এক মাসের সময় চেয়েছে। তবে সেখানে সে কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেননা।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা: সজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা প.প. কর্মকর্তা ডা. নিতিষ চন্দ্র গোলদার ভালো বলতে পারবেন।