• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ ওহিদ আলম লস্করের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এক নারী কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৪, ৯:৫৫ অপরাহ্ন / ৫০
গোপালগঞ্জে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ ওহিদ আলম লস্করের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এক নারী কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ ওহিদ আলম লস্করের কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অন্যত্র বদলি, হয়রানি, মানসিক নির্যাতনসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে ভুক্তভোগী তমা খানম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আমি তমা খানম গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে হিসাব সহকারী পদে ৬ বছর যাবত কর্মরত আছি। মূল পদের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আমার পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি আমার পদের দায়িত্ব চাইলে অধ্যক্ষ ওহিদ আলম লস্কর আমাকে নানান কুরুচিপূর্ণ কথা, ইশারায় ও আকার ইঙ্গিতে কু-প্রস্তাব দেয় এবং আমার বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদন খারাপ দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে তার রোষানলে পড়তে হয়।

তিনি শিক্ষক পরিষদের মিটিং-এ ডেকে আমাকে বদলির ব্যবস্থা করে। আমি মানসিক হয়রানির শিকার হয়ে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাাগ মাধ্যমে ছেড়ে দেই। তারপর অধ্যক্ষের কিছু অনুসারী আমাকে ভয় দেখানো শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার হুমকিও দেয়। তারপর আমাকে বাসায় ডাকা হয় আমি ভাবি সমঝোতার মাধ্যমে মীমাংসা করে নেওয়া জরুরী। অধ্যক্ষ স্যার ভিডিও বার্তাটি ডিলেট করে ভালো ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিতে বলেন এবং সব কিছু ভুলে গিয়ে আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন তারপর নাকি তিনি আমাকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের উক্ত পদে নিয়ে নিবেন। কিন্তু তিনি আমাকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে না নিয়ে আমার সাথে বেঈমানি করেন। আমি মহিলা মানুষ, আমার সামাজিক ও মানসিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।