গোপালগঞ্জে পৃথক দু’টি হামলায় দুই মহিলাসহ অন্তত ৮ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ পৃথক দু’টি হামলায় দুই মহিলাসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের পুইশুর ও পাটকেলবাড়ি বিশ্বাস বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর্না বসু(৩৪), ব্রজেন মন্ডল (৫০), ফুলমালা (৪৮),অতুল পাইক ( ৪০) ও মিঠুন মন্ডলকে (১৮) গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুইশুর গ্রামের জমি বিক্রি করার জন্য পার্শ্ববর্তী কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলছিলেন খোকন মন্ডল। ওই সময় অন্ধকারে রাম মন্ডল গোপনে কথা শুনলে খোকন মন্ডলের সাথে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিবেশি ব্রজেন মন্ডল গিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এতে রাম মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরে এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে রাম মন্ডল তার ছেলে নয়ন মন্ডল ও রতন মন্ডল, ভাই নির্মল মন্ডল ও তার ছেলে শুভ মন্ডল, প্রতিবেশি পল্টু মন্ডল, হরিচাদ মন্ডল ও সুমন মন্ডলকে সাথে নিয়ে ব্রজেন মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এতে ব্রজেন মন্ডল ও তাঁর স্ত্রী ফুল মালাসহ সাতজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাম মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও ছেলে রতন মন্ডল বলেন, গত রাতে খোকন মন্ডলসহ কয়েকজন কথা বলছিলো। ওই সময় আমার বাবা তাদের সেখানে উকি দেওয়ার অপরাধের তাকে ধাক্কা মারে সেজন্য এ ঘটনা হয়েছে। তারপরও আমি আজ ব্রজেন মন্ডলকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি।

অপরদিকে, পাটকেলবাড়ি গ্রামের বিশ্বাস বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারায়ন বিশ্বাসের স্ত্রী বর্না বসু সাথে প্রতিবেশি টুটুল বিশ্বাসের স্ত্রীর সাথে বাগবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে প্রতিপক্ষ টুটুল বিশ্বাস, তার স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ পিটিয়ে বর্না বসুকে মারাত্মক আহত করে। এর একপর্যায়ে জ্ঞান হারালে স্বজনরা তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক আহমেদ জানান, হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহতদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনিচুর রহমান জানান, এসব ঘটায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।