
আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া টেংরা গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজেরা খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের দাবী সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে ওই গৃহবধূর বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এক বছর আগে ঝিকরগাছা উপজেলার দেওলী গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে হাজেরা খাতুনের সাথে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া টেংরা বাজার পাঁড়া গ্রামের মৃত জামসেদ আলীর ছেলে আকাশ হোসেনের বিয়ে হয়। প্রথম দিকে তাদের সংসার ভালো চললেও পরে আকাশ হোসেন তার দাদী রহিমা বেগমের প্ররোচনায় প্রায়ই হাজেরাকে নির্যাতন করতো। ঘটনারদিনও দাদী রহিমার উস্কানিতে তাদের দুজনের মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরে তার স্বামী আকাশ হোসেন বাজার থেকে ফিরে তার স্ত্রীকে
ঘরের জানালার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে তাকে উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাজেরার পিতা মেহেদী হোসেন জানান, তার মেয়ের সাথে তার জামাই ও দাদী শাশুড়ী রাহিমা সব সময় খারাপ ব্যবহার করতো। প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বাঁধিয়ে দিতো তার মেয়ের দাদী শাশুড়ী রহিমা। ঘটনারদিন তার জামাই আকাশ হোসেন ও তার দাদী রহিমা মিলে হাজেরাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানান তিনি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম রবিউল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি ও নাভারণ সার্কেল এএসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হতে রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনি কার্যক্রম প্রকৃিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :