• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

পাবনার সাঁথিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খায়রুল খন্দকার টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না : সকলের সহযোগিতা কামনা 


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন / ১৫
পাবনার সাঁথিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খায়রুল খন্দকার টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না : সকলের সহযোগিতা কামনা 

শামীম আহমেদ, পাবনাঃ ক্যান্সার নামটি শুনলেই আমাদের সকলের মাঝে ভিতির জন্ম হয়।ক্যান্সর সনাক্তের পর দীর্ঘদিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ঔষধ আর বিভিন্ন থেরাপি নিতে হয় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে। আক্রান্ত ব্যাক্তির ধীরে ধীরে শরীরে কার্য ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকটা সময় পরনির্ভরশীল হয়েই আক্রান্ত ব্যাক্তির দিন কাটে ঘরের চার দেয়ালের ভেতরে।ক্যান্সারের ভীতি তিলে তিলে আক্রান্ত ব্যাক্তির মনের শক্তিকেও কেড়ে নেয়।নিজের অসহায়ত্ববোধ গুলো প্রতিদিন নিজেকেই কস্ট দেয়।

পাবনার জেলার সাঁথিয়া উপজেলা ধুলাউড়ি ইউনিয়নের পুরান ধুলাঊড়ি গ্রামের মো : চাঁদ খন্দকার ছেলে মো: খায়রুল খন্দকার তার পরিবারে স্ত্রী,এক পুত্র সন্তান এক কন্যা সহ আছেন তার বৃদ্ধ মাতা।

খয়রুল খন্দকার কখনো কল্পনা করেনি ক্যান্সার নামক মরণব্যাধী বাসা বেধেছে,তার শরীরে।২০২৪ সালের ১২ই জুন তার শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ধারণা অনেক আগে থেকেই শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন মরনব্যাধী ক্যান্সারের জীবাণু,ধিরে ধিরে সময়ের সাথে ক্যান্সার বাসা বেধে নিয়েছে পুরো শরীরে।

২০২৪ সালের ১২ই জুন ইসমাইল প্রথম জানতে পারে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, তখন থেকেই পাল্টে যেতে থাকে তার চিরচেনা চারপাশ।শুরু হয় মো: খয়রুল খন্দকার জীবনযুদ্ধের নতুন অধ্যায়।

প্রথমে পাবনা শিমলা ডায়াগনস্টিক একটি বেসরকারী ক্লিনিকে দেখানো হয় তাকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একাধিক পরীক্ষা করার পর তৃতীয় স্টেজে ধরা পড়ে ক্যান্সার।

নিজের জায়গা জমি বিক্রি করে এতোদিন কোন রকম চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও বর্তমানে ঋন করে চালাতে হচ্ছে চিকিৎসার খরচ।অর্থের অভাবে কেনা হচ্ছে না ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ।

তার অসুস্থতার চিকিৎসায় অনেকেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। মে: খায়রুল খন্দকার সময় গুলো পার করছেন অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে।

তার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে গিয়ে সে বলে শীতের এই বিশাল রাত গুলো কাটাতে অনেক কষ্ট হয় তার।শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া , ঘুমাতে কষ্ট হয়।বর্তমানে অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।

আপনাদের সকলের দোয়া’ ও সহযোগিতার উছিলায় যেনো আবার নতুন ভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ্য হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি সেটাই কামনা করছি।

সকলের সহযোগীতা নিয়ে মো: খায়রুল খন্দকার আবারো ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।পারিবারিক আর্থিক সামর্থ্যের কাছে হেরে যাওয়া মো: খায়রুল খন্দকার চিকিৎসার পেছনে শেষ করেছেন নিজের জমি জমা। মানবতার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি। বিকাশ নাম্বার ০১৭৩৮-৬১২৪৭১