• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে পতিত জমিতে সবজি ও মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হলেন এসপি আয়েশা সিদ্দিকা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩, ৭:৫৬ অপরাহ্ন / ১৪০
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে পতিত জমিতে সবজি ও মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হলেন এসপি আয়েশা সিদ্দিকা

কে এম সাইফুর রহমান,গোপালগঞ্জঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম অনুপ্রাণিত হলেন পতিত জমিতে সবজি, মৎস্য চাষ ও রং-বেরঙের ফুলের বাগান স্থাপনে। তার এ উদ্যোগে অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানিয়ে ভূয়সি প্রসংসা করেছেন।

দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় হতে পারে। এতে দেশের কৃষিখাতে সমৃদ্ধি বয়ে আনার পাশাপাশি কৃষিখাতে পরনির্ভরশীলতা কমাতে এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা।

তার দিক নির্দেশনায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনের অতীতের পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির বাম্পার ফলন, পুলিশ লাইনের পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ, গোপালগঞ্জ সদর থানা সহ মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া থানা চত্বরেও বিভিন্ন সবজির আবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুলের চারা লাগানো হয়েছে থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে। মনোমুগ্ধকর ও নান্দনিক সৌন্দর্যে পরিবেষ্টিত থানা গুলোতে গিয়ে বিনামূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন পুলিশি সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন সাধারণ জনগণ। জেলায় বিভিন্ন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পতিত জমিতেও বিভিন্ন ধরনের সবজি, পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হচ্ছে ও থানা গুলোকে নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। সরকারি -বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য যা অনুকরণীয় হতে পারে।

গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে ৭০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে সেখানে ৮০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই পুকুর হতে ৬০ কেজি বড় মাছ আহরণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১ শতাংশ জমিতে ঢেঁড়শ চাষ করা হয়েছে।
১ শতাংশ জমিতে শালগম চাষ করা হয়েছে। ১.২ শতাংশ জমিতে মাশকলাই শাক চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ কেজি শাক জমি হতে উত্তোলন করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে মোট ০.৬ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে মোট ০.৫ শতাংশ জমিতে পুঁই শাক চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩.৫ কেজি শাক জমি হতে উত্তোলন করা হয়েছে।গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১ শতাংশ জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১.৫ শতাংশ জমিতে গোল আলু চাষ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১.৫ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১ শতাংশ জমিতে বাঁধা কপি চাষ করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে মোট ১ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭টি ফুলকপি জমি হতে উত্তোলন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১.৫ শতাংশ জমিতে পালংশাক এবং লালশাক চাষ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে মোট ১ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ কেজি টমেটো জমি হতে উত্তোলন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন ৩৫ শতাংশ আয়তনের পুকুর গত বর্ষা মৌসুমে ৩৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি পুকুর হতে ৫০ কেজি বড় মাছ আহরণ করা হয়েছে।গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গনে ৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক—সব্জির বীজ বপন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গনে ১ শতাংশ জমিতে বেগুনের চাষাবাদ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১ শতাংশ জমিতে লাউ গাছের মাচা করা হয়েছে।গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষাবাদ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১ শতাংশ জমিতে ধনিয়া পাতা চাষাবাদ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গনে ১ শতাংশ জমিতে পিঁয়াজ চাষাবাদ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গনে ১ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী থানাধীন ৩০ শতাংশ আয়তনের পুকুরে গত বর্ষা মৌসুমে ৩২ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি পুকুর হতে ৬০ কেজি বড় মাছ আহরণ করা হয়েছে। কাশিয়ানী থানায় ০.৭ শতাংশ জমিতে মটরশুটির চাষ করা হয়েছে। ১ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ কেজি শিম উত্তোলন করা হয়েছে। কাশিয়ানী থানায় ০.৫ শতাংশ জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ কেজি বেগুন আহরণ করা হয়েছে। কাশিয়ানী থানায় ১.৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮টি লাউ উত্তোলন করে থানার মেসে সরবরাহ করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানায় ৩৫ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ আয়তনের দুইটি পুকুর রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে পুকুর দুটিতে মোট ৮০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। মুকসুদপুর থানায় মোট ১ শতক জমিতে শিমের চাষ করা হয়েছে। মোট ০.৫ শতক জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪.৫ কেজি বেগুন গাছ থেকে তোলা হয়েছে। মুকসুদপুর থানায় মোট ০.৫ শতক জমিতে পালং শাকের চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪ কেজি শাক জমি থেকে তোলা হয়েছে। মুকসুদপুর থানায় মোট ০.৬ শতক জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ কেজি টমেটো জমি থেকে তোলা হয়েছে।

কোটালীপাড়া থানাধীন ৬০ শতাংশ আয়তনের পুকুরে গত বর্ষা মৌসুমে ৪০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি পুকুর হইতে ৫০ কেজি বড় মাছ আহরণ করা হয়েছে। কোটালীপাড়া থানায় ০.৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫টি লাউ উত্তোলন করে থানার মেসে সরবরাহ করা হয়েছে। ০.৭ শতাংশ জমিতে লাল শাক চাষাবাদ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩.৫ কেজি শাক জমি থেকে তোলা হয়েছে। কোটালীপাড়া থানায় মোট ০.৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩ কেজি টমেটো জমি থেকে তোলা হয়েছে। কোটালীপাড়া থানায় মোট ০.৩ শতক জমিতে ধনিয়া পাতার চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১ কেজি ধনিয়া পাতা জমি থেকে তোলা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানায় প্রায় ১ একর আয়তনের একটি পুকুর রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে ১২০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা পুকুরে ছাড়া হয়। সম্প্রতি পুকুর হতে প্রায়