• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

নড়াইলের নড়াগাতিতে জোরপূর্বক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা ও দোকান উচ্ছেদের পায়তারা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩, ৯:৪৪ অপরাহ্ন / ৮৬
নড়াইলের নড়াগাতিতে জোরপূর্বক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা ও দোকান উচ্ছেদের পায়তারা

মোঃ হাচিবুর রহমান, নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার পাখীমারা গ্রামের সমীর কুমার ভক্ত নামের এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা ও দোকান ঘর উচ্ছেদের পায়তারা অভিযোগ উঠেছে বল্লাহাটি গ্রামের মোঃআকবার সিকদার ওরফে ( ইয়াকুব) সিকদার ও তার ছেলে সজ্জল ওরফে আলামিন সিকদার ও পাখিমারা গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের ছেলে নির্মল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সমীর কুমার ভক্ত পাখিমারা গ্রামের মৃত সদানন্দ ভক্তের ছেলে।

ভুক্তভোগী সমীর কুমার ভক্ত বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পাখিমারা মোড়ে খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজেরা দোকান করে ভোগদখল করে আসছিলাম।পরবর্তীতে খগেন্দ্রনাথ মন্ডল মারা যাওয়ার পরে ঐ দোকানঘরের জমি ২০০৭ সালে পাখিমারা মৌজার ২৯৭৫ দাগের ১১৪২ আরএস খতিয়ানের খগেন্দ্রনাথের দুই কন্যার অংশ হিসাবে ৭শতক জমির মধ্যে দুলী রানীর ২শতক ও বালী রানী ১শতক জমি কালিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিল করে ক্রয় করি। যার দলিল নাম্বার ১১৮০ এবং ৩০ বছর যাবত দোকান করে আসছি। বল্লাহাটি গ্রামের আকরাম ওরফে (ইয়াকুব) সিকদার গং বিভিন্ন সময় আমার ক্রয় করা ঐ জমি দখল ও দোকানঘর উচ্ছেদের জন্য আসে। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পারেনি।আমাকে জমি থেকে ও দোকান সরিয়ে নিতে ও বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, আমার জমি ও দোকানঘর রক্ষা করতে দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবার ওরফে ইয়াকুব সিকদারের সাথে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল ও দোকানঘর উচ্ছেদ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন তিনি অস্বীকার করেন এবং বলেন নির্মল বিশ্বাসের কাছ থেকে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর কবলা দলিল মূলে ২শতক জমি দুই ছেলের নামে ক্রয় করি।ক্রয় সূত্রে ঐ জমি আমার।

এদিকে পূর্বের জমির মালিক মৃত খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা বালী রানী কাছে কার কাছে কতটুকু জমি বিক্রয় করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার বাবা সমীর কুমার ভক্তের বাবাকে জমিতে দোকানঘর করে ভাড়া দেয় পরে বাবা মারা যাওয়ার পরে সমীর কুমার ভক্তের কাছে আমি বালী রানী ১ শতক ও আমার বোন দুলি রানী বিশ্বাস ২ শতক জমি বিক্রয় করি।

পাখিমারা কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের কাছে ২ শতক জমি বিক্রয় ও দলিল সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, আমি কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের কাছে কোনো জমি বিক্রি করিনি।তারা মিথ্যা কথা বলছে। তবে পূর্বে রেকর্ডের সময় আমার জমি রেকর্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজে সই নেয়। আমি মূর্খ,সহজ সরল মানুষ কিছু টের পায়নি। কয়েকমাস আগে আমি জানতে পারি কৃষ্ণপদ প্রতারনা করে ২শতক জমি দলিল করে। পরে ঐ দলিল বাতিলের জন্য মোকাম বিজ্ঞ কালিয়া সিনিয়র জজ আদালত, নড়াইল আদালতে মৃত কৃষ্ণপদ রেখে যাওয়া দুই ছেলে নির্মল বিশ্বাস, পরিমল বিশ্বাস,প্রবীর কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী বাসন্তী রানী বিশ্বাস ও মোঃ ইকবালের নাম উল্লেখ করে মামলা করি।