• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

খুলনার বটিয়াঘাটায় এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩, ৫:২৫ অপরাহ্ন / ১৭৮
খুলনার বটিয়াঘাটায় এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

এইচ এম সাগর হিরামন, খুলনা অফিসঃ খুলনা জেলার বটিয়াঘাটার পল্লীতে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিলের ভিতরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী গ্রামে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, রবিবার রাত আনুঃ সাড়ে ১২ টার দিকে বাহাউদ্দিন শেখ নামের এক যুবকসহ তার ৩/৪জন সহযোগী মিলে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিলের ভিতরে শ্লীলতাহানি করেছে। কিশোরী দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা।

খবর পেয়ে সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু, ইউপি সদস্য আবুল কালাম হাওলাদারসহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মী ঘটনাস্থল পার্শ্বেমারী এলাকায় যান।

চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটু বলেন, এমন নেক্কারজনক ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি রায়পুর এলাকার নাসির সরদারের পুত্র বাহাউদ্দীন সরদার উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত। অভিযোগ রয়েছে ইতোপূর্বে বাহাউদ্দীন সরদার দুটি ধর্ষণ মামলার আসামি। সে একের পর এক বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আমি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনের আওতায় এনে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জোর দাবি করছি।

গ্রামবাসিসহ ভুক্তভোগী পরিবার চেয়ারম্যানকে ঘটনাটি বলেন এবং তারা উক্ত ঘটনার ন‍্যায় বিচার দাবি করেন।

এদিকে ভিকটিম কিশোরী ভোর রাতে লোক লজ্জার ভয়ে তার ফুফা পাশ্বেমারী এলাকার আতাবুর সরদারের বাড়ি থেকে পালিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।

ভুক্তভোগী কন্যার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রথমে ঘটনাটি শিকার করে। কিন্তু কিছু পরে আবার তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তার পরিবার বলেন সে বতর্মান খুবই অসুস্থ। পরে কথা বলব বলে মোবাইলটি রেখে দেন।

ভুক্তভোগীর ফুফা আতাবুর সরদার বলেন, ঘটনার দুই দিন আগে আমার শশুর শাশুড়ির সাথে ভিকটিম কিশোরী আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। আমরা সবাই পাশের একটা অনুষ্ঠানে ছিলাম। ধর্ষণকারীরা আমার বাড়ির সামনে থেকে ভুক্তভোগীকে জোর করে ধরে নিয়ে বাড়ি থেকে কিছু দুরে বিলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা ভিকটিমের সাথে অনৈতিক কাজ করে।

তিনি আরো বলেন, আমার কন‍্যা লামিয়া ভিকটিমকে খুজতে বিলের দিকে যায়। তখন ৫/৭ জন যুবক আমার কন‍্যাকে আটক করে রাখে। তারা বলে বিলের দিকে যাওয়া যাবে না। ঘটনাটি জানাজানি হলে আমরা সবাই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ভিকটিম কে উদ্ধার করি। কিন্তু এর মধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষণকরা পালিয়ে যায়।

বটিয়াঘাটা থানার ওসি তদন্ত মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।