• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন মোরেলগঞ্জের সন্তান ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩, ৭:০৬ অপরাহ্ন / ৬০
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন মোরেলগঞ্জের সন্তান ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল

কলি আক্তার,মোরেলগঞ্জ,বাগেরহাটঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ঘোষিত পুর্নাঙ্গ কমিটিতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সন্তান ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষনা দেন পার্টির দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ্ (প্রিন্স), এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল।

ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের স্কুল শিক্ষক মরহুম মফজুল আহম্মেদের ছেলে। সোহেল তার নিজ গ্রামের ৬৯ এসবি কালিকাবাড়ী স.প্র.বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করে পঞ্চম শ্রেনি পাশ করে ওই এলাকার বলইবুনিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর ঐতিহ্যবাহী এসিলাহ পাইলট হাইস্কুল থেকে ২০০১ সালে এসএসসি পাস করেন।পরবর্তীতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যায়ন শুরু করলে রাজনৈতিক সমস্যার কারনে সেখানে তার পড়া লেখা ব্যাহত হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্টিক ও ইলেকট্রনিক্স ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। এর সাথে সাথে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিএন্ডটি কলেজ থেকে বিবিএস পাস করেন। বর্তমানে জাতীয় আইন কলেজে আইন বিষয়ে অধ্যায়নরত ।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আদর্শ লালনকারী পরিবারে জন্ম নেয়া ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল ১৯৯৮ সালে ৮ম শ্রেনিতে অধ্যায়নকালীন তার বাবা মাষ্টার মফজুল আহম্মেদের হাত ধরেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তার বাবা মরহুম মাষ্টার মফজুল আহম্মেদ ছিলেন একজন আদর্শ স্কুল শিক্ষক, তিনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।রাজনৈতিক জীবনে তিনি(মাষ্টার মফজুল আহম্মেদ) ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।ছিলেন ইউপি সদস্যও।

ফয়সাল আহম্মেদ সোহেলের ছোট ভাই সালেহ্ আহম্মেদ বাপ্পি, সেও ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত, সে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতির দ্বায়ীত্ব পালন করছেন। তৃনমূল থেকে উঠে আসা ফয়সাল আহম্মেদ সোহেল তার নিজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন অবস্থায়ই পড়ালেখার সুবাদে ঢাকায় গমন করে সক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন এবং ২০১৬ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সদস্য নির্বাচিত হন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়সাল আহম্মেদ সোহেলের সাথে কথা হলে তিনি সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, অসংখ্য কৃতঞ্জতা জানাই আমার অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমান ভাইয়ের প্রতি, আমার বাবা মার প্রতিও কৃতঞ্জতা রইলো ,ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ জুয়েল ভাইসহ সকল শুভাকাঙ্খী বড় ভাই ছোট ভাই, বন্ধু ও তৃনমূলের প্রতি যাদের ভালোবাসা ও দোয়া আমার অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়।

ছোট বেলা থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারন করি, পারিবারিক ভাবে আমরা বি এন পির রাজনীতি করি, আমার বাবা স্থানীয় বি এন পির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছে।আমি তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রদল করে উঠে আসা একজন নগন্নকর্মী, বিগত দিনে আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, আমি তা যথাযথভাবে পালন করেছি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে প্রতিটা মিছিল-মিটিংয়ে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। বার বার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা মামলার শিকার হয়েছি। এ পর্যন্ত ১৭টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি, ৫টি মামলা চলমান নিয়মিত হাজিরা চলতেছে এবং অন্যান্য মামলা থেকে বিভিন্ন প্রকৃয়ায় অব্যহতি নিয়েছি। ৪ বার কারাগারে গিয়েছি। সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের দিন পুলিশের হামলা কাদানী গ্যাসে আহত হই এবং একাধিকবার কৌসলে গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পাই। ১০ ডিসেম্বার মহা সমাবেশ পূর্বে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অফিসে পুলিশের অভিযানের মুখে পড়ে দীর্ঘক্ষ আটকা পড়ে গ্রেফতার এড়িয়ে গভীর রাতে কৌসলে বেড়িয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন সহ তাহা আমি জীবন দিয়ে হলেও যথাযথ ভাবে পালন করব। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে কাজ করব এবং এই স্বৈরাচার সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল ঘরে ফিরবে না । তাতে যত বাধা ও বিপত্তি হামলা মামলা আসুক না কেন সারাদেশে ছাত্রদল শক্তিশালী হবেই। এই সরকারের পতন হবেই।