• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকা থেকে “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ সদস্য গ্রেফতার


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২৩, ৫:১৮ অপরাহ্ন / ৬২
ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকা থেকে “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ সদস্য গ্রেফতার

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকার “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর ১৬ (ষোল) সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ শাহ জালাল (১৯), ২। মোকাব্বির হোসেন আয়ান (১৯), ৩। ইমন সরদার (২০), ৪। মোঃ রাসেল (১৯), ৫। মোঃ সুজন (১৯), ৬। মোঃ মুন্না হোসেন (১৯), ৭। মোঃ রাজু (১৯), ৮। মোঃ হাসান (১৯), ৯। মোঃ লিখন (১৬), ১০। মোঃ জিসান (১৬), ১১। মোঃ রায়হান শেখ (১৬), ১২। মোমিদ হোসেন (১৫), ১৩। মোঃ রাব্বি (১৬), ১৪। মোঃ আপন খন্দকার (১৩), ১৫। মোঃ হৃদয় (১৫) ও ১৬। মোঃ নাজিম (১৩) বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তারা জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল এর নেতৃত্বে ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ডাকাতি করে দ্রæত পালিয়ে যেত।

গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। প্রায়শঃই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত ১৬ জন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে ১। মোঃ শাহ জালাল (১৯), ২। মোকাব্বির হোসেন আয়ান (১৯), ৩। ইমন সরদার (২০), ৪। মোঃ রাসেল (১৯)’দের বিরুদ্ধে শ্যামপুর ছিনতাই মামলায় এবং ১। মোঃ সুজন (১৯), ২। মোঃ মুন্না হোসেন (১৯), ৩। মোঃ রাজু (১৯), ৪। মোঃ হাসান (১৯)’দের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় অপর ছিনতাই মামলায় মোট ০৮ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী ০৮ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে র‌্যাব-১০ তাদের নিকট হতে মুচলেকা গ্রহণ করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব-১০ আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখবে, যাতে তারা আর কখনো এধরনের অপরাধমূলক কাজে যোগ দিতে না পারে। এছাড়া র‌্যাব-১০ এর আওতাধীন এলাকায় কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের সনাক্ত করে তাদের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার জন্য র‌্যাব-১০ বদ্ধপরিকর।