• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

এমপি মুক্তিকে প্রধান আসামি করে অভিযোগ দায়ের


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৭, ২০২২, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন / ৬৮
এমপি মুক্তিকে প্রধান আসামি করে অভিযোগ দায়ের

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দলটির অঙ্গ সংগঠন কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ও সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ। কালিয়া পৌর ভবনে হামলা করে পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ও মামলার বাদী শামীম আহম্মেদকে লক্ষ্য করে গুলি নিক্ষেপ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুরে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধনসহ ব্যাপক তাণ্ডবের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে এমপি কবিরুল হক মুক্তিকে প্রধান আসামিসহ ৩৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪ মিনিটে নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শেষে পৌর মেয়র মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরার পৌরসভার অফিস কক্ষে বসে মেয়রসহ ৭/৮ জন নেতা নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা করছিলেন। হঠাৎ এমপি কবিরুল হক মুক্তি পৌর কার্যালয়ের সামনে এসে ৫০-৬০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ সময় এমপির নির্দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড (কালিয়া উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী খান রবিউল ইসলাম মামলার বাদীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এছাড়া গফুর শেখ নামে এমপির অপর একজন কালিয়া পৌর মেয়রকে লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ছোড়ে। এরপর এমপি মুক্তির লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ভাংচুরসহ তাণ্ডব চালায়। বিষয়টি পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা আছে এবং এটি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগকারী নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার সঙ্গে কালিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান জড়িত থাকায় তাকেও এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী সালামাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ বলেন, শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে পৌর মেয়র মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যখন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছিলাম। ঠিক তখনই এমপি মুক্তি ৫০-৬০ জনের বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি তাকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

জানতে চাইলে কালিয়া পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, প্রকৃতপক্ষে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে এমপি মুক্তি তার সমর্থিত সাধারণ সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে তার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী পৌর ভবনে হামলা করে ও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর করে। বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা আছে।

একই প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, কালিয়া পৌর ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নড়াইল-১ আসনের এমপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নড়াইল-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।