• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক ও ইফটিজিং বিরোধী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩, ১১:০১ অপরাহ্ন / ১৩৪
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক ও ইফটিজিং বিরোধী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ীতে নবজাগরণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে মাদক ও ইফটিজিং বিরোধী এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় নবজাগরণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা সুফিয়া জামালের সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন, মহিশালবাড়ী জামে মসজিদের খতিব, শাহ সুলতান কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাও. মোঃ দুরুল হোদা, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির তোতা, সি এন্ড জামে মসজিদের খতিব মাও. মীম ওবাইদুল্লাহ, সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন, আল ইসলা ইসলামী একাডেমীর সহকারি প্রধান শিক্ষক তারেক আহম্মেদ আনীক, অফিস সহকারি হামিদ রানা, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম, সহকারি শিক্ষক জিয়াউর রহমান।

বক্তাগণ বলেন বিভিন্ন দপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা খুবই শক্তিশালি, মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ, বিজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সদস্যরা এখন বীর দাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গোদাগাড়ীতে কেজি কেজি হেরোইন, গাঁজা, হাজার বোতল ফেনসিডিল, হাজার হাজার পিস ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া থাকা শর্তেও হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য আসে কি করে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসন, সচেতন মহল আন্তরিক হলে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদকবদ্র্য প্রতিরোধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ইমাম, এলাকাবাসী সাংবাদিকদের এক যোগে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। হেরোইন, ইয়াবা, ইদানিং গাঁজা, মাদক ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। মহিশালবাড়ী গরুর হাটে, বিদিরপুর ক্লাব, প্রেমতলী, নিমতোলা, রাজাবড়ি, পিরিজপুর, আলিমগজ্ঞ, গোপালপুর প্রভূতি স্থানে মাদকের হাট বসে। উপজেলার বসুদেবপুর, মাদারপুর, গোপালপুর, মিষ্টির দোকানের সামনে হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলের কারবার চলে এছাড়া রাজাবাড়ী, প্রেমতলী হাসপাতাল এলাকা, রেলবাজার মনির হোটেল, কসাইপাড়া, মহিশালবাড়ী গরুরহাট, সুলতানগজ্ঞ, ফিরোজচত্তর, সুলতানগজ্ঞ, বাসুদেবপুর, পিরিজপুর, কুমুরপুর, মাদারপুর, শিবসাগর প্রভূতি এলাকায় অবাদে হোরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্নধরের মাদকসেবন, বেচাবিক্রিসহ ছোটবড় অপরাধ হয়। ওই স্থানে অভিযান ও মোবাইল কোর্টসহ মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম বলেন, গোদাগাড়ীর স্বল্প সংখ্যক লোক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের প্রতিহত করতে না পারলে আমরা সাবাই কি বেঁচে আছি, মরে গেছি। মাদক ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে নিয়ে মসজিদ বানাচ্ছি, মসজিদ তিনতলা করতে হবে কেন, তার বড় দানের জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী বানাচ্ছেন। মাদক ব্যবসায়ীর নিকট ছেলে মেয়ের বিয়ে দিবেন না, তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাথবেন না। তাদেরকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাবেন না, যদি বানায় তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করবেন না। যারা মাদক ব্যবসা করে তারা নিজের পরিবারের সদস্য দিয়ে মাদক টেষ্ট করান এবং টেষ্ট করতে করতে সে মাদক সেবী হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ পাস করা এক ছাত্রকে মাদক সেবন করার অভিযোগে মোবাইল কোট করে জেল দেয়া হয়েছে। ইফটিজিং করে এলাকার ছেলেরা অভিভাবক যদি সচেতন হয় তবে মাদক ও মুক্ত হবে।

এ সভায় ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, কোন পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা থাকে প্রমান করতে পারেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। থানায় আসতে দালাল লাগবে না। জি.ডি করার জন্য এক দালাল ৫ শ টাকা উৎকোচ গ্রহন করায় তাকে গ্রেফতার জেল হাজাতে প্রেরন করা হয়েছে। শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ যে কেউ আসতে পারেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন মাদক ব্যবসায়ী, শিশু নির্যাতন, কোন আপরাধ করে পার পাবে না। সুলতানগঞ্জ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত মাদক কারবার চলে। গোদাগাড়ী মডেল থানা থেকে কোন মাদক ব্যবসায়ী ছাড় পায়নি। ইফটিজারকে গ্রেফতারকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এ সংগঠনের হাত ধরে মহিশালবাড়ী মাদকমুক্ত, ইফটিজিং মুক্ত গোদাগাড়ী উপহার দিবেন।