• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগের পাল্টা প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ৪:১১ অপরাহ্ন / ৫৭
বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগের পাল্টা প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাটঃ রামপালে আওয়ামী লীগের পাল্টা প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলার জাতীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপজেলা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মো. আবু সাইদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হামিম নূরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, উজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাজীব সরদার, যুবলীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির রবিউল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে দ্বিধাবিভক্ত করতে একটি মহল নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসাবে গত ১৩ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের চত্বরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন কতিপয় নেতাদের নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে অসত্য, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও মনগড়া বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি উপমন্ত্রী সম্পর্কে অতিরঞ্জিত করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মো আবু সাইদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা রাজনীতির জন্য কোন কল্যাণকর বার্তা বহন করে না। কে কি করেন সেটি আমরাও জানি, আমরা কারো সমালোচনা করতে চাই না। একটি টিভি চ্যানেলে লাইভ বক্তব্যে ভুল ত্রুটি হতে পারে। তাই বলে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য কাম্য নয়। উপজেলা চেয়ারম্যান কত টাকার মালিক তা একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই রামপাল ও মোংলার ১৬ জন চেয়ারম্যান অবহেলিত। পরিষদের চেয়ারম্যানদের এমপি কোটার বরাদ্দ দেয়া হয় না, তাদের সাথে কোন সমন্বয় বা যোগাযোগ রাখা হয় না। মন্ত্রী আসেন, মন্ত্রী চলে যান কিন্তু এর বেশী কিছু আমরা জানতে পারি না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অবহেলিত নেতারা। তাদের দাবী উচ্চ পর্যয়ে তদন্ত করলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। রামপাল ও মোংলায় সংগঠনকে মজবুত করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের মতামত নেওয়ার জোর দাবী করেন নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমরা সকলকে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি চাই সকলকে নিয়ে কাজ করতে।

উল্লেখ, আওয়ামী লীগের পাল্টা এই সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সংখ্যাক নেতাকর্মী ও পুলিশের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্মণীয়।