• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

তালা ও কলারোয়া দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে নিয়ে চিন্তায় আছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ৯:৪৭ অপরাহ্ন / ৫৫
তালা ও কলারোয়া দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে নিয়ে চিন্তায় আছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরাঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে নমনীয় থাকবে আ’লীগ। এমন ঘোষনার পরে সাতক্ষীরা-১ আসনে দলীয় মনোনায়ন পাওয়ার পরেও দ্বন্দে আর বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে আ’লীগ।

ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে তিন প্রার্থী এর মধ্যে জাতীয় পার্টি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। নেতাদের এমন আচরনের কারনে কর্মীদের মনে নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার ধ্বশ নামতে পারে বলে মাঠ পর্যায়ে এমন গুজ্ঞন শোনা যাচ্ছে।

চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ স্বপনকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনায়ন দেন। নৌকার কাঙ্কিত টিকিট পেয়েও টেনশনে আছেন তিনি। ইতিমধ্যে দলীয় তিন হেবিওয়েট নেতা গত ৩০ নভেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মুজিবর রহমান, তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব। এদিকে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দলীয় মনোনায়ন পাওয়ার পরে দ্বন্দে আর দ্বিধা বিভক্ততে জড়িয়ে পড়েছে তালা ও কলারোয়া উপজেলার আ’লীগ। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্বে নানা অনিময়ের অভিযোগ তুলে তার মনোনায়ন বাতিলের আবেদন জানিয়েছে তারা। ইতিপূর্বে কলারোয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের দলীয় মনোনায়ন পেয়ে তিনি পরাজয় বরন করেছে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে এমনটাই ভাষ্য ঐ তিন নেতার।

তালা উপজেলার নাম না বলা এক আওয়ামী লীগে নেতা জানান, আমাদের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে নিয়ে গেলেই তাকে কেউ ভোট দিবে না বলে এটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি কারণ তাকে কেউ ভোট দিতে চায় না কারণ সে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীনই তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এবং ভোট চাইতে গেলেই এলাকাবাসী তাকে কেউ চেনে না বলেই মন্তব্য করেন। এই বিষয় নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক চিন্তিত আছে

এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেক্রেটারি জানান, আমরা আমাদের কর্মীদের ডেকে পাচ্ছি না কারণ যাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে কোন নেতাকর্মীরা পছন্দ করে না তাই নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত আছি বুঝতে পারছি না আমাদের নৌকা মার্কায় কি পরাজিত হবে।

নাম না বলা ব্যক্তি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান, আমাদের রাজনীতি জীবনে যাকে কখনো মাঠে পাইনি এবং যাকে চিনি না তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়ন দিল এটা ভাবতে খুব অবাক লাগে তাই আমরা নীরবে বসে থাকবো নৌকার বিরোধীতাও করবো না এবং কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষেও যাবো না জনগণ যাকে চাইবে সেই নির্বাচিত হবে।

এ ব্যাপারে গুজব উড়িয়ে দিয়ে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, নৌকার সামনে কোন প্রার্থী টিকতে পারবে না।