• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

এবার অনাবৃষ্টি খুলনাঞ্চলে দাম কমেছে পাটের : চাষীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৮, ২০২২, ১:১১ অপরাহ্ন / ১৮২
এবার অনাবৃষ্টি খুলনাঞ্চলে দাম কমেছে পাটের : চাষীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে

মোস্তাইন বীন ইদ্রিস (চঞ্চল),খুলনা: অনাবৃষ্টির কারণে খুলনাঞ্চলে মান কমেছে পাটের। একই সঙ্গে দামও নেমেছে অর্ধেকে। ফলে চাষীদের এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং মিঠা পানির অভাবে নদীর নোনা পানিতে পাট জাগ দেন চাষীরা। এতে করে পাটের সোনালী রং আসেনি। এছাড়া ক্রেতাদের কাছে চাহিদা না থাকায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবার অর্ধেক বা তার চেয়ে কম দামে অর্থ্যাৎ দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় পাটের মণ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। ২০২০ এবং ২০২১ সালে খুলনাঞ্চলের কৃষকরা ৫ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করেছিলেন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জুন-আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সেখানে এ বছরের জুন-আগস্ট এই তিন মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৩৪৬ মিলিমিটার। এদিকে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নদী ও চৌবাচ্চার মধ্যে পলিথিন দিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিল।

পাট অধিদপ্তর খুলনার পরিদর্শক সরজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, পাটের মৌসুম গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। সে সময় প্রতি মণ পাটের প্রকারভেদে দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। তবে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) তোষা জাতের পাট সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। খুলনার চুকনগর, আঠারোমাইল, কপিলমুনি, বাগেরহাটের বড়গুনি, কোলাদহ, বড়বাড়িয়া, মোল্লাহাট, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা, জাতপুর, সুভাসিনী, বাশদহ, কলারোয়া ও তালা হাটে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় পাট বিকিকিনি কমেছে।

সূত্র জানায়, এবার বাগেরহাট জেলায় ২২ হাজার বেল, খুলনায় ২৭ হাজার বেল এবং সাতক্ষীরায় ১ লাখ ৮৯ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

খুলনার ডুমুরিয়াস্থ উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা নিলয় মল্লিক বলেন, শোভনা এলাকায় মিষ্টি পানির অভাব নেই। তবে আটলিয়া ও মাগুরঘোনা এলাকায় নদীর পানিতে পাট পঁচানোর ফলে গুণগতমান নষ্ট হয়েছে। ফলে কৃষকরা কাঙ্খিত দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন না।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামের পাট চাষি উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘ভদ্রা নদীর পানি বাড়ির পাশের খাল পর্যন্ত আনতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাই। সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। নদীর নোনা পানির কারণে পাটের মান নষ্ট হয়েছে। সে কারণেই হাটে ক্রেতার চাহিদাও কম।’