• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৯, ২০২২, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন / ২৫৩
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান

এম শিমুল খান, ঢাকাঃ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ২০২২-২৪ মেয়াদের জন্য সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক নিবাচিত হয়েছেন চিত্র নায়ক জায়েদ খান।

ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট, তার প্রতিদ্বন্ধী মিশা সওদাগর ১৪৮ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন জায়েদ খান, আর এই পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১৬৩ ভোট পেয়ে নিপুন হেরেছেন।

সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ২১৯ ভোট এবং রুবেল ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। আর শাহনূর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী (২০৫ ভোট), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান (২৩২ ভোট), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন (২০৩ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান (১৯৩ ভোট) জয় পেয়েছেন।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে জয় পেয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আহমেদ, অঞ্জনা সুলতানা, অরুনা বিশ্বাস, অমিত হাসান, মৌসুমী, আলীরাজ, কেয়া, চুন্নু, জেসমিন, রোজিনা ও সুচরিতা।

শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন নিয়ে ছিল শঙ্কাও। তাই কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল এ নির্বাচন ঘিরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে নির্বাচনের দিন প্রথম এফডিসিতে পা রাখেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। আস্তে আস্তে তারকাদের আনাগোনায় মুখর হতে থাকে বিএফডিসির আঙিনা। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী এবং তারকা ভোটাররা মিস করেছেন তাঁদের অনেক তারকা বন্ধু, সহকর্মী ও প্রিয়জনদের। কেউ ছিলেন দেশের বাইরে, কেউবা দেশে থাকলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভোট দিতে আসেননি। অন্যদিকে ডলি জহুরের মতো অভিনয়শিল্পী জানালেন, শিল্পী সমিতির ভোট দিতেই তিনি দেশের বাইরে থেকে এসেছেন।

ডলি জহুর ভোট দিতে এসেছিলেন শর্মিলী আহমেদ ও দিলারা জামানকে নিয়ে। এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী মিরানা জামানও। দিনব্যাপী এফডিসিতে অনুষ্ঠেয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট ঘিরে ছিল চাপা উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং উৎসব আর উৎকণ্ঠাও। শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।