মোঃ রাসেল সরকারঃ ঈদুল আজহার শেষ মুহূর্তে সরগরম পশুর হাট। সবার নজর এখন পশু কেনাবেচার দিকে। অন্যদিকে ক্রেতা নেই রাজধানীর শপিংমলগুলোতে। সাধারণত কোরবানির ঈদে বড়দের পোশাকের চাহিদা না থাকলেও ছোটদের থাকে। তবে এবার শিশুদের পোশাকও তেমন বিক্রি হয়নি। ফলে দিনের অধিকাংশ সময় অলস কাটাচ্ছেন পোশাক বিক্রেতারা।
শনিবার (৯ জলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্সে, খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, রাজধানী সুপার মার্কেট, ফরচুন শপিংমল, মৌচাক মার্কেট মুগদা বাসার টাওয়ার সহ রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মৌচাক ফরচুন শপিংমলের শিশু পোশাক বিক্রেতা তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, এবার ঈদে শিশুদের পোশাক বিক্রি নেই বললেই চলে। মানুষ সব ঢাকা ছেড়ে এলাকায় চলে গেছে। ঢাকা শহর ফাঁকা। করোনা, বন্যা এসব কারণে এবার বিক্রি নেই।
মালিবাগ টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্সের জাস্ট কিডস ফ্যাশনের বিক্রেতা মো. শামীম হোসাইন বলেন, ক্রেতা নেই, বিক্রিও নেই। কোরবানির ঈদে এমনিতেই পোশাক বিক্রি কম হয়।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি অনেক কম হচ্ছে। বৈশ্বিক কারণে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ফলে সবাই এখন খরচ কম করার চেষ্টা করছে। সবকিছু মিলেই আমাদের বিক্রি একেবারেই নেই।
একই মার্কেটের শীতল ফ্যাশনের কর্মী মো. শিবলু বলেন, আমাদের ফিক্সড কাস্টমার, মুম্বাই থেকে আমাদের প্রোডাক্টগুলো আসে। আমাদের বিক্রি স্বাভাবিক আছে। ঈদ উপলক্ষে আলাদা তেমন বিক্রি নেই।
মালিবাগ টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স শিশুর পোশাক কিনতে আসা এক নারী বলেন, পোশাকের মান যেমন, দাম তেমন। মার্কেট ফাঁকা স্বাচ্ছন্দ্য কিনতে পারবো, সময় নিয়ে পছন্দ করা যাবে, তাই এখন এসেছি।
রাজধানী সুপার মার্কেটর ব্যবসায়ী মো. লিটন মিয়া। তিনি বলেন, বিক্রি একেবারেই নেই। ভাই এখন যেমন দেখছেন গত এক মাস ধরেই এ অবস্থা। ঈদ কেন্দ্রিক আমাদের বিক্রি একেবারেই নেই।
আপনার মতামত লিখুন :